প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪ ২২:৩১ পিএম
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৪ ২২:৪৩ পিএম
প্রতীকী ছবি
অঙ্গ প্রতিস্থাপনে ধর্মীয় কোনো বাধা নেই উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘ইরান, সৌদি আরব, কুয়েতসহ বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামিক দেশেও ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট করা হচ্ছে। এতে কোনও ধর্মীয় বাধা নেই। সব ধর্মেই মানবকল্যাণ ও মানুষের জীবন বাঁচানোর কথা বলা হয়েছে। তাই এই ধরনের মহৎ কাজে অঙ্গ দান করলে তাতে কোনও ধর্মীয় বিধিনিষেধ নেই।’
বুধবার (৬ মার্চ) বিএসএমএমইউতে ‘লাখো প্রাণ বাঁচাতে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টে (অঙ্গ প্রতিস্থাপন) ধর্মীয় ও আইনি গুরুত্ব’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বৈঠকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আবদুল্লাহসহ উপস্থিত অন্যান্য ধর্মীয় নেতারাও বিএসএমএমইউ উপাচার্যের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ‘দেশে প্রতি বছর সাড়ে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার মানুষের কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এত মানুষের কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের সক্ষমতা আমাদের নেই। এজন্য ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের দক্ষ টিম তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে তিনটি করে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা সম্ভব। কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য শিশু হাসপাতালের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু হয়েছে। হার্ট প্রতিস্থাপনের জন্যও বিশেষজ্ঞ দল তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সংযুক্ত করতে হবে। সবাইকে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে। তবে মৃত্যুর পর কারও অঙ্গ দিয়ে যদি মানুষের মাঝে বেঁচে থাকা যায়, তা অনেক বড় পাওয়া। ধর্মীয় নেতারাও একই কথা বলেছেন। তাদের কথায় বোঝা গেল, কোনও ধর্ম যেহেতু দেহদানে বাধা দেয় না, তাই সবাই দিতে পারে এটি।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু নাসার রিজভী, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় মহাদেবসহ অন্যান্য ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।