প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪ ২১:৩০ পিএম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৪ ২১:৫৩ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভা। প্রবা ফটো
পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর ঘিরে মানুষের কষ্ট ও ভোগান্তি লাঘবে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এর মধ্যে রয়েছে– নিত্যপণ্যের মূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ঈদুল ফিতরে যানজট, বিদ্যুৎ, গ্যাস সরবরাহসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। এজন্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করা প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিশেষ নির্দেশনাগুলো তুলে ধরেন। এ বিষয়ে নিজ নিজ বিভাগের পরিকল্পনা তুলে ধরেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।
পর্যালোচনা সভা সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র রমজান মাসে কোনোভাবেই যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বাণিজ্য সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মজুদদারি রোধে সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। ইফতার ও সেহরিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বলেন, ‘আগের বছরগুলোর চেয়ে এবারের রোজায় দেশে অনেক বেশি খাদ্য ও নিত্যপণ্যের মজুদ আছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারে আছে। রোজার প্রস্তুতি আমরা যথাযথভাবে নিতে পেরেছি। যখন যার যা প্রয়োজন তা নিলে কারও কোনো সমস্যা হবে না। আমরা খুব ভালোভাবে রোজা ও ঈদ উদযাপন করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘রোজার সময় নিত্যপণ্য যাতে মানুষের কাছে পৌঁছায়, সরবরাহ শৃঙ্খলা ঠিক থাকে, সেজন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়েছে। ওএমএস কর্মসূচি ও টিসিবির মাধ্যমে রোজা ও ঈদ ঘিরে দুই কিস্তিতে এবার খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা হবে। তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর আমরা দুবার করে এক কোটি মানুষকে দেব।’
রোজায় মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য মুখ্যসচিব সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
এ ছাড়া সহজে টিকিটপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করা, ঈদের আগে রাস্তা ও সেতু সংস্কার, নৌপথে ফেরি বাড়ানো, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাড়ানো এবং গার্মেন্টস ও পাটকল শ্রমিকদের বেতনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), সেতু বিভাগ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, ধর্ম মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।