× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিরোধিতার মধ্যে পাস হলো দ্রুত বিচার আইন

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪ ২০:১৪ পিএম

আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৪ ২০:৩৩ পিএম

জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষ। ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষ। ফাইল ছবি

দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করতে জাতীয় সংসদে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার-সংশোধন) বিল-২০২৪’ পাস হয়েছে। বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্যরা ঘোরতর আপত্তি জানান। তারা সরকারকে সতর্ক করে বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে গেলে এই আইনের মাধ্যমে দমন-পীড়নের শিকার হবে। তবে তাদের সেই আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

২৯ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। তবে তাদের সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে– চাঁদাবাজি; যানবাহন চলাকালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি; যানবাহনের ক্ষতিসাধন; স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা; ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি; দরপত্র ক্রয়বিক্রয়, গ্রহণ বা দাখিলে বাধাদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন-২০০২’ প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। আইনটি প্রণয়নের সময় মেয়াদ ছিল দুই বছর। প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ক্রমান্বয়ে সাতবার মেয়াদ বাড়ানো হয়, যে মেয়াদ ৯ এপ্রিল শেষ হবে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির জন্য এই আইন মেয়াদ শেষে বারবার সময় বাড়িয়ে স্থায়ীভাবে আইনে পরিণত করা প্রয়োজন।

বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আইনটি ২০০২ সালে বিএনপি সরকারের সময় যখন করা হয় তখন আপনারা বলেছিলেন এটা নিবর্তনমূলক আইন, কালো আইন। আইনটি রাজনৈতিক কারণে বা যেকোনো কারণে সরকার ইচ্ছা করলে যেকোনো নাগরিককে হয়রানি করতে পারে। সেই আইনটা আপনারা রেখেছেন, আমি জানি না কেন রেখেছেন। আপনাদের উদ্দেশ্য ভালো হলেও স্থায়ীভাবে আইনটি করার পর অন্য কোনো দল ক্ষমতায় এলে তাদের উদ্দেশ্য তো ভালো নাও থাকতে পারে। তখন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানির শিকার হতে হবে।’

জাতীয় পার্টির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গর্ত খুঁড়লে সেই গর্তে পড়তে হয়। বিএনপি গর্ত খুঁড়েছিল গর্তে পড়তে হয়েছে। আপনারা আইনটি স্থায়ী করছেন, সময় তো সব সময় এক রকম যায় না। তাই স্থায়ী না করে আইনটির মেয়াদ চার বা পাঁচ বছর বাড়াতে পারেন।’

জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য মাসুদউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘যখন ২০০২ সালে আইনটি হয়েছিল তখন সবাই বিরোধিতা করেছি। এই ২২ বছরে মানুষের অবস্থা কী হয়েছে সেটা জনমত যাচাই করে দেখতে পারেন। যেহেতু সময় শেষ তাই চার বা পাঁচ বছর বাড়াতে পারেন।’

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অরাজক ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ২০০২ সালে এই আইন করা হয়েছিল। আইনটি করার উদ্দেশ্য ছিল যাতে মানুষ তাৎক্ষণিক বিচার পায়। অল্পসময়ের মধ্যে যারা অপরাধ করে তাদের বিচার হয়, তারা যেন শান্তি পায়। সংসদ সদস্যরা অনেক সময় আমাদের কাছে সুপারিশ পাঠান– এই আইনের মাধ্যমে যেন বিচার হয়। শুধু সংসদ সদস্য না অনেকেই প্রায়ই এই আইন ব্যবহার করার জন্য প্রায়ই সুপারিশ পাঠান। সংসদ সদস্যদের কেউ বলেননি, আইনটি বাতিল করে দেন। কেউ বলেননি আইনটি যথাযোগ্য নয়, শুধু বলেছেন সময় বাড়িয়ে দিয়ে আইনটি চালু থাকুক। কিন্তু বারবার সময় না বাড়িয়ে এটাকে স্থায়ী করলে সবার জন্যই মঙ্গল হবে। এটার কোনো অপপ্রয়োগ হবে না, এটা ভালো আইন, তাদের মেনে নিতে আমি অনুরোধ রাখব।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা