প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪ ২৩:৪৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সরকারি সংস্থাগুলোর গাফিলতি ও জবাবদিহির অভাবে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি ঘটে চলেছে বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘একটি ঘটনা ঘটার পর বিচ্যুতিগুলো চিহ্নিত হয়, কমিটি গঠন ও বিভিন্ন সুপারিশ দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিরা শাস্তি পাচ্ছেন না।’
রবিবার (৩ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ে ‘অগ্নিদুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি: প্রাণহানির শেষ কোথায়’ শিরোনামের সংবাদ সম্মেলনে কামাল উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে ২২টি আইন ও হাইকোর্টের ১টি নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। ঘটনা ঘটার পর বিভিন্ন মহলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে সব স্তিমিত হয়ে যায়। মামলাগুলোও আর চলমান থাকে না। এটি খুবই কষ্টকর। এসব ঘটনায় দায়ী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, ভবনমালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা হলে অগ্নিকাণ্ড ও মৃত্যুর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে।’
কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রুলস অব বিজনেসে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের কথা বলা আছে। সংস্থাগুলো বিভিন্ন সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নোটিশ দিচ্ছে। কিন্তু শুধু নোটিশ দিয়ে ক্ষান্ত হলেই চলবে না, এ ধরনের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ জরিমানার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।’
ভয়াবহ আগুনের ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া যায় কি না, সে প্রশ্নও তোলেন কামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সরকারি নিয়ন্ত্রণ সংস্থার উদাসীনতা, ‘ম্যানেজড’ হওয়ার প্রবণতাও প্রতীয়মান হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্বহীনতায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মামলা হয়নি। আবার দু-একটি ক্ষেত্রে মামলা হলেও সাজার কোনও নজির নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ীদের চিহ্নিত করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
আগুনে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে ভবনের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে দেখভালকারী সরকারি সংস্থাগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনা, জমির মালিকসহ বিভিন্ন সংস্থার কার কী গাফিলতি ও অবহেলা ছিল, তা চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া, জলাধার বাড়ানো এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েছেন কামাল উদ্দিন আহমেদ।
কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সচিব সেবাষ্টিন রেমা, সদস্য ড. তানিয়া হক, সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, উপপরিচালক এম রবিউল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।