প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪ ২২:২৪ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৪ ২২:৪০ পিএম
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘নতুন কারিকুলাম নিয়ে কোনো নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে বলে তারা (জেলা প্রশাসক) জানাননি। তার মানে আমরা ধরে নিতে পারি রাজধানীর বাইরে প্রান্তিক পর্যায়েও টিচিং লার্নিং প্রসেস অভিভাবকসহ শিক্ষকগণ সাদরে গ্রহণ করেছেন।’
রবিবার (৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে জেলা পরিষদের প্রশাসকদের মতামত কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এই সম্মেলনে সারা দেশ যত্রতত্র গড়ে ওঠা অনিবন্ধিত নূরানী মাদ্রাসাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকেরা। তাদের দাবির আলোকে এসব মাদ্রাসাকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে কিন্ডার গার্টেনগুলোকেও নীতিমালার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনায় অনিবন্ধিত নূরানী মাদ্রাসার বিষয়ও উঠে এসেছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নিবন্ধিত মাদ্রাসা প্রক্রিয়ার বাইরে যারা মাদ্রাসা খুলছেন সেটা আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নয়। সেগুলো বিষয়ে বেফাকের (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ) সঙ্গে একটা কাজ আমাদের করতে হবে, সেটা হলো একটা বয়সসীমা পর্যন্ত জাতীয় কারিকুলাম যাতে অনুসরণ করা হয়। না হলে আমাদের এই শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত, নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং দক্ষতা অর্জিত হবে না। সেটা যাতে অর্জিত হয় সেজন্য আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিবন্ধনের বিষয়ে পুরো দেশে মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্য একটা সার্ভে করেছে। সেই সার্ভে রিপোর্টগুলো নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা কাজ করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জেলা প্রশাসন জানিয়েছ বিভিন্ন জায়গায় যত্রতত্রভাবে এসব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে জাতীয় কারিকুলামের আলোকে পরিচালিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও আশঙ্কাজনকভাবে উপস্থিতি কমতে দেখা গেছে। সেটা আমাদের সকলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে আমাদের সাধারণ শিক্ষা কার্যক্রম যখন পরিচালিত হয় সেই সময়টাতে ওইসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যায় কিনা বা অন্য সময়ে পরিচালিত করা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা আমরা অবশ্যই ভবিষ্যতে চিন্তা করব। অনিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির হার বাড়বে আর নিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমবে সেটা কখনো কাঙ্ক্ষিত নয়। সে বিষয়ে আমরা মাঠ প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করব।’
জেলা পর্যায়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে কমিটির কোনো প্রস্তাব এসেছে কিনা জানতে চাইলে মহিবুল হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনা হয়নি। তবে যৌন নিপীড়ন কমিটি করার ক্ষেত্রে আদালতের একটি নির্দেশনা আছে। আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখেছি অভিযোগ যখন উত্থাপিত হয়, এই কমিটিগুলোর মাধ্যমে অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়াধীন-এরকম যুক্তি দেখিয়ে যেখানে এক ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে সেখানে প্রতিরক্ষা করার চেষ্টা করা কয়। অর্থাৎ অপরাধের তদন্ত চলছে তাই কোনো পুলিশি বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না- এরকম ঘটনা কিন্তু ঘটেছে।’