প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪ ১৮:১৬ পিএম
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৪ ১৮:৪১ পিএম
জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদ বাংলাদেশি টাকায় নয় বলে দাবি করেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। সেই সঙ্গে নিয়ম না থাকলে হলফনামায় তিনি বাড়তি তথ্য (বিদেশি সম্পদের) কেন দেবেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন।
শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তার বাবা ১৯৬৭ সাল থেকে লন্ডনে ব্যবসা করেছেন। তিনি নিজে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে ১৯৯১ সাল থেকে সেখানে ব্যবসা করেছেন। এরপর তিনি লন্ডনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন।
নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশে সম্পদ থাকার কথা গোপন করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই এমপি বলেন, ‘হলফনামা পুরোপুরি বাংলাদেশের আয়কর রিটার্নের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। এতে বিদেশে সম্পদের তথ্য দেওয়ার আলাদা কোনো ছক নেই। বাড়তি তথ্য কেন দিতে যাবেন?’
তিনি বলেন, বিদেশে তার আলাদা আয়কর নথি আছে। আর বিদেশে যে সম্পদ আছে, এর পেছনে ব্যাংকঋণ আছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এর আগে আরও অনেক গণমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া ২৬ ডিসেম্বর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এক মন্ত্রীর বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। তবে তিনি নির্বাচনী হলফনামায় এ তথ্য দেননি।
মন্ত্রী থাকার সময় লন্ডনে ব্যবসার বিপুল সম্প্রসারণের বিষয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারি তার জন্য সুযোগ হয়ে আসে। সে সময় লন্ডনে বাড়ির দাম পড়ে যায়। ব্যাংকঋণের সুদ কমে যায়। সে সময় তিনি ঝুঁকি নিয়ে লাভবান হয়েছেন।
মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার মন্ত্রণালয়ে এক টাকার দুর্নীতিও হয়নি দাবি করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এ বিষয়ে প্রয়োজনে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দল গঠনের কথা বলেন তিনি। কোনো দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে আগে ব্যবসায়ী পরে রাজনীতিক বলে উল্লেখ করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, নিজের নামে সম্পদ করেছেন জেনেবুঝে। কারণ তার সন্তানদের তখন মালিক হওয়ার মতো বয়স ছিল না। তার বিদেশের সম্পদের পরম্পরা (ট্রেইল আছে) আছে। সুতরাং নিজের নামে সম্পদ করেছেন জেনেই।