মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪১ পিএম
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:০৭ পিএম
ফাইল ছবি
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক অতিরিক্ত সচিব ও এক যুগ্ম সচিবের আচরণে কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ দুই কর্মকর্তার আচরণের কারণে কর্মচারীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সচিব মাহবুব হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভা ও রিপোর্ট অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা সালমা জাফরীন এবং মন্ত্রিসভা-রিপোর্ট ও রেকর্ড অধিশাখার যুগ্ম সচিব ইয়াসমিন বেগম বরাবরই তাদের অধীনস্তদের প্রতি রূঢ় আচরণ করেন।
সামান্যতম ভুল যেন এ অনুবিভাগের কারও জন্য জীবন দুর্বিষহ করার নামান্তর। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্গে নানা ধরনের অগ্রহণযোগ্য আচরণ করলেও বর্তমানে প্রতি মুহূর্তে তাদের এ আচরণ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের রূঢ় আচরণের ফলে আমরা আতঙ্কে দিন পার করছি, যা দিনে দিনে আমাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অভিযোগ লিখিতভাবে বিস্তারিত জানিয়েছি, এর বাইরে আর কোনো বক্তব্য নেই। ওই দুই কর্মকর্তা যেকোনো ছুতোয় কর্মচারীদের গালাগাল করেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগত আক্রমণের মধ্যে পরিবারকে ছোটলোকের বংশধর উল্লেখ করা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চাকরি কে দিয়েছে, নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের নৈতিকতা ও স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।’
কর্মচারীরা অভিযোগে লিখেছেন, আমাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বিভিন্ন উপনামে যেমন ‘বেবি এলিফ্যান্ট’, ‘জমিদারের বাচ্চা’, ‘নবাবপুত্র’ ইত্যাদি ডাকা প্রতিদিনকার ঘটনা। প্রায় সময় চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চাকরির অযোগ্য বলে চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন।
কর্মচারীরা বলেন, কর্মস্থলে করা ভুল একান্তই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির, এখানে তার পরিবারকে হীন-নীচ করার প্রচেষ্টা কোনোভাবেই সুস্থ মস্তিষ্কপ্রসূত আচরণ হতে পারে না।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একাধিক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, কর্মচারীদের অভিযোগের ভিত্তি আছে। সাধারণত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এমন আচরণধারী কর্মকর্তাদের স্থান হয় না। এখানে অনেক যাচাই-বাছাই করে সেরা কর্মকর্তাদের আনা হয়। কিন্তু দিনে দিনে এ সংস্কৃতির অবনতি ঘটছে। এখন তো লবিং-তদবিরে সবই হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তারা শুধু অধীনস্ত কর্মচারীদের নন, অনেক কর্মকর্তার সঙ্গেও আপত্তিকর আচরণ করেন, যা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে যায় না।