প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:০৪ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৩৭ পিএম
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া শেষ হয়। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে ১০ দিনব্যাপী ‘এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২৪’ শীর্ষক যৌথ মহড়া শেষ হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে মহড়াটি শেষ হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী বিমানবাহিনীর প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য আফেয়ার্স হেলেন লাফেভ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের প্রতিনিধিদলের প্রধান মেজর জেনারেল এরিক সিনোভ্যাক।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ তিন বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, মহড়ায় অংশগ্রহণকারী উভয় দেশের সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
মহড়ায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০জে ও একটি এএন-৩২ পরিবহন বিমান এবং প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের দুটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ২৫০ জন সদস্য এবং ইউএস প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের ৭৭ জন সদস্য অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়া অনুশীলনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ১২ জন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩০ জন সদস্য এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪০ জন প্যারাট্রুপার অংশগ্রহণ করেন।
মহড়ায় আপদকালীন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পরিবহন বিমানগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন পরিচালনা করা হয়। এই যৌথ অনুশীলনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের মধ্যে আন্তঃসক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ বিনিময়, পরিবহন বিমানের উন্নত রক্ষণাবেক্ষণের বিভিন্ন কার্যপদ্ধতি, প্রশিক্ষণকালীন ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির কার্য উপযোগিতা মূল্যায়নসহ উন্নত ব্যবহার এবং ভবিষ্যতে এই কার্যক্রমে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যে সকল যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে তা নির্ণয়সহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়।
মহড়াটি উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলার সামর্থ বৃদ্ধির পাশাপাশি পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়াও এ মহড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।