প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৫ পিএম
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১১ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার পাঠানো সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য জো বাইডেনকে একটি চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিঠির মূল কপি মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক ভবন হোয়াইট হাউসে হস্তান্তর করবেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
জানা গেছে, শেখ হাসিনার লেখা চিঠির একটি অনুলিপি ইতোমধ্যে ঢাকা সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখারের কাছে হস্তান্তর করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখারে নেতৃত্বে বৈঠকে ছিলেন প্রতিনিধিদলের সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার ও ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সিডিএ হেলেন লাফাভে।
বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম ও মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় চান। আমরা তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে। সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে উভয় দেশ উপকৃত হবে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাইডেনের লেখা চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেয় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। চিঠিতে শেখ হাসিনাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্যকে সমর্থন করতে এবং একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য যৌথ ভিশনে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
বাইডেন বলেন, বাংলাদেশ ও অংশীদারত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরুর এ সময় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জ্বালানি ও বৈশ্বিক বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমার প্রশাসনের আন্তরিক ইচ্ছা প্রকাশ করতে চাই।
চিঠিতে বাইডেন আরও লেখেন, স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা– বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে কাজ করার আমাদের একটি দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের জনগণের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন দুদেশের এই সম্পর্কের ভিত্তি।