× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বাংলাদেশকে কেউ পেছনে টানতে পারবে না : শেখ হাসিনা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:১৩ এএম

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৫৩ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’ প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’ প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ফোকাস বাংলা

ভোগে নয়, ত্যাগেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি আনন্দ ও অর্জন-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া এই শিক্ষা ধারণ করে নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না। এই শিক্ষা নিয়েই সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের দীর্ঘ ইতিহাসের বর্ণনাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এটা মনে হয় বিএনপি নেতারা ভুলে যান, ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়া তার ক্ষমতা হারিয়েছিলেন জনগণের আন্দোলনের মুখে।’ তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া নির্বাচন করেছিল সত্য, কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। মাত্র দেড় মাস ওই পার্লামেন্টের আয়ুষ্কাল ছিল। ক্ষমতায় বসতে না বসতে ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া জনগণের রুদ্ররোষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আবারও তারা ভোট চুরির চেষ্টা চালান ২০০৬ সালে নির্বাচনের সময়। কিন্তু তখন নিজেদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে যখন নির্বাচন করতে গেছেন, জনগণ মেনে নেয়নি। আবারও সেই নির্বাচন বাতিল হয়ে যায় এবং বিএনপি ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলেছিল আন্দোলন করে আমাদের সরাবে। আমাদের নির্বাচন করতে দেবে না। কিন্তু আমরা নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছি। ’৭৫-পরবর্তী সময়ে যে কয়টা নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে যেটা সবচেয়ে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন, সেটা হচ্ছে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন। হাজারও চেষ্টা করে, দেশে-বিদেশে মিথ্যা প্রচার করে, তদবির করেও জনগণকে ঠেকাতে পারেনি ওরা। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা নতুন ও মহিলা ভোটাররা এবার সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এখন আবারও শুনছি, তাদের বড় বড় কথা। তারা আন্দোলন করে আমাদের হটিয়ে দেবে! জামায়াত-বিএনপির কথা না হয় বুঝলাম। কিন্তু আমাদের কিছু বামপন্থি দল আছেÑতারাও লাফায়! তারাও আন্দোলন করবে, বিপ্লব করবে! হ্যাঁ, আমাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জনগণ ও আমার দলের নেতাকর্মীরা বারবার মানবঢাল রচনা করে আমাকে রক্ষা করেছে।’ 

জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগ সব সময় কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে এবং এর পরবর্তী নির্বাচনে আমরা জাতির সামনে যা যা ওয়াদা করেছিলাম, প্রতিটি ওয়াদাই আমরা পূরণ করেছি। পূরণ করেছি বলেই আমরা মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ২০১০ থেকে ২০২১ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছিলাম, এবং ২১ থেকে ৪১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি, কীভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তরুণ সমাজকে সেভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। এখানে ভোগে নয়, ত্যাগেই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি আনন্দ এবং অর্জনÑসেই কথা মনে রাখতে হবে। সেটা শিখিয়ে দিয়ে গেছেন আমাদের লাখো শহীদ। এ শিক্ষা দিয়ে গেছেন আমাদের ভাষা আন্দোলনের শহীদরা। এই শিক্ষা দিয়ে গেছেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কাজেই তার আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি যেন ক্ষমতায় আসতে না পারি তার জন্য অনেক চক্রান্ত হয়েছে। তারপরও একে একে পঞ্চম দফায় ক্ষমতায় এসেছি। বাংলাদেশ এই ১৫ বছরে বদলে গেছে। আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নতি হয়েছে। একটা আদর্শ নিয়ে না চললে কোনো দিনও উন্নতি করা যায় না।’ তিনি বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারির আদর্শের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের মানুষ যে মহান আত্মত্যাগ করেছে সেই আদর্শ নিয়ে দেশের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে বলেই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এই দেশের মানুষকে আরও উন্নত জীবন দিতে চাই। ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে এ দেশের মানুষ যেন আরও উন্নত জীবন পায় সেই পরিকল্পনা নিয়েই আওয়ামী লীগ কাজ করছে। আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ করে বলেই মানুষের আস্থা ভালোবাসা আর বিশ্বাস অর্জন করেছে।’

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বের বুকে যে পরিচয় পেয়েছি, সেটা দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা যে মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি, আমরা যে স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি, সেটা তার হাত ধরেই এসেছে। এ উপমহাদেশে একমাত্র ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশ। সে জাতি-রাষ্ট্র আমরাই পেয়েছি।’ 

ইতিহাস বিকৃত করা ও বাংলাদেশের মানুষকে হেয় করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগতÑএ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা কিছুই ভালো লাগে না রোগে আক্রান্ত। আমাদের দেশের কিছু আঁতেল একসময় বলেছে, শেখ মুজিব ভালো প্রশাসক ছিলেন না। অথচ যে সেক্টরে হাত দিয়েছি, দেখেছি মূল কাজটা বঙ্গবন্ধু করে দিয়ে গেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজ করেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ করে দিয়ে গেছেন। তাঁর দেখানো পথেই আমরা এগিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে যে চেতনা, তা থেকেই আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আসে।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা