প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৪ পিএম
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৩ পিএম
পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম। ফাইল ফটো
উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্র্য কমলেও আয়বৈষম্য হ্রাস সময়সাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম। লিখিত উত্তরে তিনি বলেন, ‘ধনী-গরিবের ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য সরকারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বহুমাত্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন আছে। তবে উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্র্য কমলেও আয়বৈষম্য হ্রাস সময়সাপেক্ষ।’
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধী দলের চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রীর পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রশ্নের উত্তর দেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আয়বৈষম্য বা ধনী-গরিবের ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য আওয়ামী লীগ নেতৃতাধীন সরকারের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বহুমাত্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন আছে। জাতির পিতা বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ যথেষ্ঠ অগ্রগতি অর্জন করেছে। বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সত্ত্বেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩.৪৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭.১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। জাতীয় দারিদ্র্যের হার ২০১৬ সালের ২৪.৩ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ১৮-৭ শতাংশে নেমে এসেছে। চরম দারিদ্র্যের হারও ২০১৬ সালের ১২.৯ শতাংশ থেকে অর্ধেকের বেশি হ্রাস পেয়ে ২০২২ সালে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৫ সাল নাগাদ চরম দারিদ্র্য হ্রাসের যে লক্ষ্যমাত্রা (৭.৪ শতাংশ), তা ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এটি সত্য যে, উচ্চহারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্র্য কমলেও আয়বৈষম্য হ্রাস সময়সাপেক্ষ বিষয়। বিবিএসের সর্বশেষ খানা আয়-ব্যয় জরিপানুসারে, ২০২২ সালে আয়বৈষম্যের মান ০-৪৯৯। তবে ভোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশে বৈষম্য ০:৩০-০.৩২-এ স্থিত হয়ে আছে, যা আয়বৈষম্যের প্রভাব লাঘব করেছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, ভোগ ব্যয়বৈষম্য পরিমাপে অধিকতর নির্ভরযোগ্য। আয়বৈষম্য মূলত বাজার অর্থনীতিরই একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, যার মূলে রয়েছে সম্পদ ও মানব পুঁজির অসম বণ্টন। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির সুবিধা সকল জনগোষ্ঠীর মাঝে সমানভাবে বণ্টন নিশ্চিত করা গেলে আয়বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব। সরকার দারিদ্র্য ও আয়বৈষম্য দূরীকরণে যথেষ্ঠ আন্তরিক। সরকারের সকল দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা উন্নয়ন কৌশলের ভিত্তিমূলে রয়েছে অন্তর্ভুক্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন।’