প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪০ পিএম
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা-গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার। প্রবা ফটো
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকবিলার বিষয়টি বৈশ্বিক। তাই ২০২২ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা-গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
তারা আরও বলেন, সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকাও জোরদার করা প্রয়োজন। গণমাধ্যমের সোচ্চার ভূমিকা সবাইকে সচেতন করতে পারে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন গণমাধ্যম ইনস্টিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন। মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী। বক্তব্য দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা এ. খান, গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক এ কে এম আজিজুল হক, মো. নজরুল ইসলাম ও ড. মো. মারুফ নাওয়াজ, সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব ও সেক্রেটারি জেনারেল আসাদুজ্জামান সম্রাট, ইনস্টিটিউটের সহকারি পরিচালক তানজীম তামান্না প্রমূখ।
মির্জা শওকত আলী বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নানামুখি পরিবর্তন ঘটছে। এক কথায়– ভূ-পৃষ্ঠের গড় উষ্ণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এক সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে মানুষ। এ সংকট মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যেসব প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেস্ট নয়।
গণমাধ্যম ইনস্টিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন বলেন, ‘সরকার জলবায়ু পবির্তনের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা বাংলাদেশের জন্য বেঁচে থাকার লড়াই। অসংখ্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কর্মকান্ডের জন্য বিশ্বব্যাপী এক রোল মডেল এ পরিণত হয়েছে।’
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মালিক ফিদা এ. খান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির বিপদাপন্ন অবস্থা থেকে বেরিয়ে সমৃদ্ধির দিকে যেতে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বদ্বীপ পরিকল্পনা, এসডিজি ও স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনায় জলবায়ু ইস্যুটি অগ্রাধিকারে রাখা গেলেই ওই পথনির্দেশিকা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।’