মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:১৬ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৪১ পিএম
দ্য আনঅ্যাভয়েডবল মাস্টার রিস্ক? অ্যাড্রেসিং ক্লাইমেট ওভারশ্যুট শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। শনিবার জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে।
মানুষের অস্তিত্ব সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, যদি ২০২৫ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শীর্ষে পৌঁছে ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক হয়ে যায় এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ অর্জন করা যায়; তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এখনও এড়ানো যাবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করা সম্ভব। এজন্য দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে ‘দ্য আনঅ্যাভয়েডবল মাস্টার রিস্ক? অ্যাড্রেসিং ক্লাইমেট ওভারশ্যুট’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘অতিক্রমণ ও ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে বিপর্যয়কর বাস্তবতা চলছে। তা আরও খারাপ করে তুলবে। আইপিসিসি (ইন্টারগভর্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ) স্পষ্ট বলেছে, অনেক ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে না। জলবায়ু পরিবর্তন বিদ্যমান সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে– যা জাতীয় শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করছে।’
বাংলাদেশের জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে খরা বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘন ও চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনা ঘটছে। লোকজনকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ হওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৩৩ লাখ বাংলাদেশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উচ্ছেদ হবে। এটিকে দেশের অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের নম্বর এক চালক শক্তি করে তুলবে।’
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপখাইয়ে নিতে এবং স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে সহায়তা করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলোর পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। আমাদের কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারণ এবং সৌর বিকিরণ পরিবর্তনের মতো অপরীক্ষিত প্রযুক্তির দিকে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। এর পরিবর্তে আমাদের প্রশমন, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান, বনায়ন ইত্যাদি কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করা উচিত।’
প্যানেল আলোচনায় কোস্টারিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং জলবায়ু ওভারশুট কমিশনের কমিশনার কার্লোস আলভারাডো কুয়েসাদা, পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার ও ইউরোপীয় সবুজ চুক্তির জন্য ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মারোস শেফকোভিচ উপস্থিত ছিলেন।