মন্তব্য সিইসির
বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৫৮ পিএম
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:২০ পিএম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানে সাড়া জাগানো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্বগ্রহণ ও বিদায়ি কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, ‘আমি খুব বেশি বলতে চাই না, হয়তো পাকিস্তানের দৃষ্টান্তটা এসে যেতে পারে। সেখানেও একটা নির্বাচন, এটা বেশ সাড়া জাগানো নির্বাচন হয়েছে। আমি বিশ্লেষণে যাচ্ছি না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে, কোনো রকম দলীয় প্রতীক ছাড়া বা বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরীক্ষামূলকভাবে স্ট্যাগারিং পদ্ধতিতে করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একই জেলায় তিনটি পর্বে নির্বাচন করা; এটা হয়তো মৌলিক সংস্কার নয়, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার। বিদ্যমান আইন বজায় রেখেই কমিশন এটা উদ্ভাবন করেছে। একটা জেলার মধ্যে আমি যদি তিনটি পর্বে নির্বাচন করি, যেটাকে ভারতে স্ট্যাগার্ড বলে, জাতীয় নির্বাচনটা স্ট্যাগারিং করে হয়—তিন মাস ধরে হয়। এখানে যদি ওইভাবে তিনটি পর্বে নির্বাচনটা করা হয়, তাহলে কিন্তু একই দিনে দিনাজপুর থেকে চট্টগ্রামে পুলিশ আসার প্রয়োজন হবে না। আমি আশা করি, এটা নির্বাচনটাকে অনেক সহজ করে দেবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা আছে, এটা অনস্বীকার্য। একই জেলার মধ্যে হওয়ার কারণে প্রশাসনের জন্য ডেপ্লয়মেন্ট ও মোবিলাইজেশন সহজ হয়ে যাবে, খরচ অনেক কমে যাবে।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমি খরচটা বাদ দিলাম, খরচ নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। আমার কাছে যেটা প্রয়োজন, এনফোর্সমেন্ট। ভোটাররা আসছেন কি-না, বিশৃঙ্খলা হচ্ছে কি-না এবং কোনো রকম সহিংসতার আশঙ্কা আছে কি-না, যদি থেকে থাকে সেটাকে রহিত করা। এটা অনেক সহজ হবে, কয়েকটি পর্বে নির্বাচন হলে। ভবিষ্যতে পুরো দেশে স্ট্যাগারিং পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে পারে।’
এক প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘আমি জেনেছি এবার নির্বাচনে (স্থানীয় নির্বাচন) কোনো দলীয় প্রতীক থাকবে না। এটার ভালো দিক আছে। এটা রাষ্ট্রীয় নির্বাচন নয়। এলাকাভিত্তিক নির্বাচন। এখানে মানুষ এলাকার লোককে নির্বাচিত করবেন, পুরো জাতির জন্য নয়।’
সংসদ নির্বাচনে কম ভোটার উপস্থিতি উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় বলেছি—নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হোক। জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে শেষ ভাষণেও বলেছিলাম, বিএনপির জন্য সময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। আমরা মুখে বলেছি, টেলিফোনে কথা বলেছি, ডিও লেটার দিয়ে আহ্বান জানিয়েছি, উনারা আহ্বানে সাড়া দেননি। আমরা খুবই খুশি হতাম; নির্দ্বিধায় বলেছি, যদি নির্বাচনটা আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক হতো, তাহলে ভোটার উপস্থিতি নিঃসন্দেহে আরও বেশি হতো।’
সিইসি বলেন, ‘বড় বড় রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, নির্বাচন অশুদ্ধ হবে না, নির্বাচন অবৈধ হবে না, কিন্তু নির্বাচনের যে সর্বজনীনতা, সেটা খর্ব হতে পারে, গ্রহণযোগ্যতা খর্ব হতে পারে, নির্বাচনের যে ন্যায্যতা সেটাও খর্ব হতে পারে, কিন্তু লিগ্যালিটি নিয়ে হয়তো প্রশ্ন হবে না।’