প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:০৫ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:২০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্য বন্ধের দাবি সংসদে জানিয়েছেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ওয়ান টাইম’ প্লাস্টিক পণ্য বন্ধ করতে না পারলে রাজধানীর পরিবেশ রক্ষা করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।’ রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ৭১ বিধির জরুরি জন- গুরুত্বসম্পন্ন নোটিসে তিনি এ দাবি করেন।
নোটিসে ফেরদৌস বলেন, ‘প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রতিদিন অতিমাত্রায় প্লাস্টিকনির্ভর হয়ে পড়ছি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক ব্যবহারের পর আমরা যত্রতত্র ফেলে দিই। নির্বাচনী প্রচারসহ অন্যান্য অনেক বিজ্ঞাপন ও প্রচারের জন্য এখন প্লাস্টিকে মোড়ানো পোস্টার ও লিফলেটের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ।
‘প্রয়োজন শেষে ফেলে দেওয়া এসব প্লাস্টিক বছরের পর বছর মাটির নিচে থাকলেও পচে না। এ ধরনের ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মাথা ব্যথার কারণ। বর্তমানে প্রচারের জন্য ব্যবহৃত ছাপানো কাগজকে কুয়াশা ও বৃষ্টির পানি থেকে অক্ষত রাখতে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে দেওয়া হয়। সদ্যসমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা গেছে। প্রয়োজন ফুরালে এসব প্লাস্টিকের শেষ ঠিকানা হবে রাজধানীর ড্রেন ও নালা-নর্দমায়। এতে একদিকে বাড়বে জলাবদ্ধতা, অপরদিকে দেখা দেবে পরিবেশের ক্ষতি।’
জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক ঢাকা শহরকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।’ এ সময় তিনি ফেরদৌসকে এমন প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে ৩০ হাজার টন কঠিন বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। ঢাকা শহরে হচ্ছে প্রায় ৭ হাজার টন। এর মধ্যে ১০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক। আমরা আগামী দুই বছরে এর ৯০ শতাংশ কমাতে চাই। পর্যায়ক্রমে আমরা এর উৎপাদন ও বিতরণ বন্ধ করতে চাই। আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে এক্ষেত্রে আমাদের সবার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। বিকল্প থাকা সত্ত্বেও সহজলভ্য হওয়ায় আমরা সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক গ্রহণ করছি।’
সংসদে সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক বন্ধের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য মন্ত্রী বলেন, ‘এটা সম্ভব হলে দেশের জন্য একটা দৃষ্টান্ত হবে। ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধের বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। আমরা ১০০ দিনের যে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছি, সেখানেও দূষণের বিষয়টি নিয়ে আসছি। আমরা এসব পণ্য তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্তদের ওপর দায় দিতে চাই। এজন্য আমরা বিধি তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছি।’