প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৬ পিএম
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:২৩ পিএম
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেছেন, বাংলাদেশে এক সময় খাদ্যের অভাব ছিল। এ কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দিত। তবে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দেশে চালের উৎপাদন বেড়েছে। ১৯৭১ সালে দেশে চাল উৎপাদন হয়েছিল ৯ দশমিক ৯৯ লাখ মেট্রিক টন। আর ২০২২-২৩ সালে চাল উৎপাদন হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন। অর্থাৎ গত ৫ দশকে চাল উৎপাদন বেড়েছে ৪ গুণ।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় গাজীপুরস্থ ব্রি’র নিজস্ব কার্যালয়ে ব্রি’র বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে রয়েছেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. হুমনাথ বান্দারী, জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের বাংলাদেশ রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জিয়াউকুন সাই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে গবেষণা অগ্রগতি ২০২২-২৩ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণা পরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান।
ব্রি’র মহাপরিচালক বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা বলতে আমরা ভাতের নিরাপত্তাকেই বুঝি। কেননা আমাদের দেশে চালই প্রধান খাদ্য। বর্তমানে চাল উদ্বৃত্ত না থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ হতো। অথচ ব্রি’র উৎপাদনের কারণে বর্তমানে দেশে ৪৫ থেকে ৫০ লাট টন চাল উদ্বুত্ত রয়েছে।’
পুষ্টি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চাল হলো পুষ্টির প্রধান উৎস। ব্রি বিশ্বের প্রথম জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধান আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে কৃষিকে লাভজনক করতে হলে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে। আর এজন্য প্রধানমন্ত্রী একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।’
কর্মশালায় ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, এসডিজির ১, ২ ও ১৩ নং গোল নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। দেশে ১ দশমকি ১২ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বাড়ছে। জনমানুষের ক্ষুধা নিবারণে গত ২০২২-২৩ সালে ধানের ৫টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। সেখানে একটি হাইব্রিড ও ৪টি ইনব্রিড। তার মধ্যে ব্রি১০৫ জাতের ধানটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত।