প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪১ পিএম
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৫৫ পিএম
পাট অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। প্রবা ফটো
বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ির প্যাটেন্ট (জিআই স্বত্ব বা ভৌগোলিক নির্দেশক) পেতে জরুরি কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, ‘জরুরিভাবে মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মতিঝিলে পাট অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সেলিনা হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রণালয় ও পাট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘‘কৃষকদের কাঁচা পাটের উপযুক্ত দাম নিশ্চিত করতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ অনুযায়ী ১৯টা পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক রয়েছে। এসব পণ্যে কেউ যদি প্লাস্টিকের ব্যবহার করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা আরও জোরদার করবেন। দেশব্যাপী সারা বছর অভিযান চলমান থাকলেও বর্তমান পেক্ষাপটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘পাট চাষ নিশ্চিত করতে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষককে অন্যান্য উপকরণ সহায়তার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচা পাট সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সব সময় পাটের বাজারদর পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। ফলে পাটকলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে। যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের পাট খাতকে সমৃদ্ধ ও আধুনিক করতে সরকারের ধারাবাহিক সময়োপযোগী পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি পাট খাতের অংশীজনদের নীতি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।‘
তিনি বলেন, ‘পাট খাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে খাতটি অসামান্য অবদান রাখছে। বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’