ডলার সংকটে অর্থছাড়ে সমস্যা হচ্ছে : চীনা রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশের জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতির অর্থছাড় করা যাচ্ছে না। চীন ও বাংলাদেশের নিজস্ব মুদ্রার মধ্যে সমন্বয় করা যায় কি না এ ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় গণমাধ্যমে পরিকল্পনামন্ত্রীও কথা বলেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর আমরা (পাকিস্তান আমল থেকে) বাংলাদেশের  চতুর্দশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। বর্তমানে খুব কম দেশেই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে চীন একটি। বাংলাদেশেরও আছে। চীনের ইতোমধ্যে ১৪টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হয়েছে। সেজন্য বাংলাদেশের সঙ্গে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে যৌথভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমরা কীভাবে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি, কীভাবে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি সেসব বিষয়ে কথা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের চীনে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্মস কমিটি আছে, সেটি হুবহু এ দেশের পরিকল্পনা কমিশনের কমিটির মতো। এই দুই কমিটি একসঙ্গে কীভাবে কাজ করতে পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করছি।’

পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে। আমাদের সঙ্গে তাদের যেসব সমস্যাগুলো আছে, সেগুলোর সমাধানে আলাপ হয়েছে। চীনেরও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা রয়েছে, আমাদেরও আছে। সেসব বিষয়ে কীভাবে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে।’

চীনের দেওয়া প্রতিশ্রুতির অর্থছাড়ে ধীরগতি কেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছোটখাটো কোনো সমস্যা থাকলে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।’

একই প্রশ্নের উত্তরে চীন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমেরিকার ভুল মনিটরিং ও ফিসকেল পলিসির কারণে বিশ্বব্যাপী ডলার সংকট হচ্ছে। এ কারণে সারা বিশ্বই সমস্যায় পড়েছে। চীনও একই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে।’

তিনি বলেন, ‘এজন্য আমরা বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছি যাতে অর্থছাড় ও বিনিয়োগের অর্থ নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন করা হয়। আর বিশ্বে ডলার সংকট কেটে গেলে পরবর্তীতে অর্থছাড় বাড়বে।’