প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:০৪ পিএম
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১৫ পিএম
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাৎসরিক সমুদ্র মহড়া ‘এক্সারসাইজ সেফ গার্ড-২০২৩’-এর অংশ হিসেবে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম ও খুলনা নৌ অঞ্চলে সমুদ্র সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, চট্টগ্রামে বানৌজা ঈসা খানের স্কুল অব মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিক্স (এসএমডব্লিউটি) এবং খুলনায় নৌবাহিনী ঘাটি বানৌজা তিতুমীর ফেয়ারওয়ে মাল্টিপারপাস হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এ দুই সেমিনারের চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল খোন্দকার মিসবাহ উল আজীম এবং খুলনায় নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার কমডোর জাহাঙ্গীর আদিল সামদানী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ, জ্বালানি নিরাপত্তায় সামুদ্রিক খনিজ সম্পদের ব্যবহার, মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ সমুদ্র সম্পদের নিরাপত্তা রক্ষার চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। সেমিনারে বাংলাদেশ সেনা ও বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিন ফিসারিজ একাডেমি, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বিআইডব্লিউটিএ, চট্টগ্রাম কাস্টম’স হাউজ, বিএনসিসি, বাংলাদেশ ওসানোগ্রাফি রিসার্চ ইনস্টিটিউট, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড এবং অন্যান্য মেরিটাইম সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে ‘বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বঙ্গোপসাগরে সম্পদ সংরক্ষণ ও এর টেকসই ব্যবহারে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অবদান, ‘মোংলা বন্দরে জাহাজ প্রবেশের জন্য টেকসই ড্রেজিং কৌশল পরিকল্পনা প্রণয়ন’, ‘সমুদ্রে নেভিগেশন ও যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’, ‘বন সংরক্ষণ ও অবৈধ চোরাচালানের হাত থেকে বন সম্পদ রক্ষা করা’, ‘অভ্যন্তরীণ নৌ পথের চ্যালেঞ্জসমূহ এবং এর থেকে উত্তরণের উপায়’ ও ‘সামুদ্রিক বাণিজ্য সুসংহত করার লক্ষ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সেমিনারে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন, মোংলা বন্দর কর্র্তৃপক্ষ, কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্ট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিন, বিআইডব্লিউটিএ এবং খুলনার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রতিনিধিরাসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আলোচক অংশগ্রহণ করেন।