× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সাক্ষাৎকার

তথ্য নিয়ন্ত্রণ নয়, অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ফসিহউদ্দিন মাহতাব ও শাকিল ফারুক

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:১১ এএম

আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:১২ পিএম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত

বাংলাদেশের প্রথাগত রাজনীতিতে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সৃজনশীল চর্চার ধারাটিকে নতুন করে জনপ্রিয় করে তোলার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নতুন প্রজন্মের যে রাজনীতিকদের- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত তাদের মধ্যে অন্যতম।

গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বার এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে নতুন মন্ত্রিসভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রতিদিনের বাংলাদেশের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের কর্মপরিকল্পনা ও সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফসিহউদ্দিন মাহতাব ও শাকিল ফারুক।  

প্রবা : প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দুই সপ্তাহ পেরিয়েছে। স্বল্প এই সময়ে আপনার অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাই। 

মোহাম্মদ আলী আরাফাত : অভিজ্ঞতা নানামুখী। গত দুই সপ্তাহ ধরে সবকিছু বুঝে ওঠার চেষ্টা করছি। কাজগুলো কীভাবে সম্পন্ন করব, কারও প্রতি যেন অবিচার না হয়। মন্ত্রণালয়ের কাজের যে কৌশলগত দিক- গণমাধ্যম ও যোগাযোগের ব্যাপারে আগে থেকেই আগ্রহ ছিল, বুঝতাম জানতাম। এখন প্রশাসনিক বিষয়গুলো আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছি। আমার নিজস্ব কিছু চিন্তাভাবনা রয়েছে- সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছি। 

প্রবা : বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই স্পর্শকাতর একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। কীভাবে নিজের কাজগুলো সম্পন্ন করতে চান? 

মোহাম্মদ আলী আরাফাত : তথ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না, অবাধে বিচরণ করতে দিতে চাই। তবে অপতথ্যকে জবাবদিহির মধ্যে আনতে হবে। কারণ আমাদের রাষ্ট্রকাঠামো বিরোধী যে অপশক্তি ও চিন্তাধারা এবং উগ্রবাদ ও মৌলবাদের মতো বিষয়গুলো বেঁচেই আছে মিথ্যা ও গুজবের ওপর। আমরা মনে করি- গণতন্ত্রের অগ্রগতি ও একটি সমাজের এগিয়ে যাওয়ার জন্য গণতন্ত্রের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং তথ্যের অবাধ বিচরণ বা প্রবাহ খুবই জরুরি। এটা থাকা দরকার। এজন্য সরকারের যে সক্ষমতা রয়েছে তা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে এই চিন্তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।

প্রবা : অপতথ্য নিয়ে বিশ্বজুড়েই চলছে ভীষণ তোলপাড়। এমন একটি সময়ে অপতথ্য কিংবা গুজব সামাল দেওয়ার চ্যালেঞ্জটা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। কীভাবে সামাল দেবেন?

মোহাম্মদ আলী আরাফাত : এটা ঠিক বলেছেন। বাংলাদেশে অল্প সময়ের মধ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে গেছে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কারণে ধারণাগত জায়গাতেও মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। সেখানে একটা বড় চ্যালেঞ্জ অবশ্যই রয়েছে। তাই আমি মনে করি- আগের মতো প্রথাগত পদ্ধতিতে তথ্য মন্ত্রণালয় চালানোর আর সুযোগ নেই। তাই একেবারেই আলাদাভাবে চিন্তা করতে হবে এবং সেভাবে কাজ করতে হবে। এজন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় ভীষণভাবে দরকার। এক্ষেত্রে সবারই দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের দিক থেকে যেটা করতে হবে- সঠিক তথ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে দেরি হলে বা দিতে না চাইলে- এই ফাঁকে অপতথ্য ঢুকে পড়ার সুযোগ থাকে। ভ্রান্তি এড়াতে তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে যেকোনো তথ্য যাচাই ও সঠিক বিষয়টি গণমাধ্যমকে অবহিত করার দায়িত্ব পালন করব। আশা করব, গণমাধ্যমগুলোও যেন এ ব্যাপারে সমন্বয়টা করে। এটা ঐক্যবদ্ধভাবে করতে হবে। এটা সবার জন্যই মঙ্গল। 

প্রবা : কিন্তু সবাই যখন কোনো না কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করছে- তখন এই সমন্বয়ের বিষয়টি কীভাবে সম্পন্ন করবেন? 

মোহাম্মদ আলী আরাফাত : আমি মনে করি, পক্ষ নেওয়ার স্বাধীনতা সবার থাকা উচিত। যে কেউ যে কারও পক্ষ নিতেই পারে। আমারও তো একটা পক্ষ আছে। আমিও তো একটা পক্ষে বিশ্বাস করি। পক্ষ নেওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। আন্তর্জাতিকভাবেও কিন্তু সকল গণমাধ্যমের একটা আদর্শিক চিন্তাভাবনা ও অবস্থান থাকে। একজন ব্যক্তির বা একটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব চিন্তাচেতনা থাকতেই পারে, তারা সে অনুযায়ী কাজ করবে- এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কথা বলার সময়, বক্তব্য দেওয়ার সময় একটা অসত্য কথা বলব- সেটা অন্য বিষয়। আপনার বক্তব্য ও সংবাদ তো বস্তুনিষ্ঠ হবে। 

কিন্তু তথ্য ও মত তো এক জিনিস নয়। ধরুন একটি কালো চশমা- সেটা হয়তো আমার পছন্দ, আপনার পছন্দ না। এক্ষেত্রে আমি আপনাকে চাপ দিয়ে বলতে পারব না যে, আমার পছন্দ হয়েছে তোমার কেন হবে না। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু কালো চশমাকে আপনি বলবেন হলুদ- তাহলে তো আপনি মিথ্যা বলছেন। আমার বিরোধটা সেখানে। আমরা এমন অপতথ্যের জায়গায় জবাবদিহি আনতে চাই। যে মিথ্যা বলছে তাকে সমাজের কাছে প্রকাশ্যে আনতে চাই, এই মিথ্যার পেছনে যে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে তা খোলাসা করতে চাই। কারণ যে দর্শক বা পাঠক আপনার তথ্য নিচ্ছে- তাকে ধোঁকা দেওয়ার সুযোগ তো নেই। এটা প্রতারণা। এটাও কিন্তু এক ধরনের ফৌজদারি অপরাধ।

প্রবা : বিভিন্ন সংস্থা নিয়মিতই দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জরিপ বা গবেষণার ফল প্রকাশ করে থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে সেগুলো উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়, ওইসব সংস্থা পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করছে। এই দ্বন্দ্ব নিরসনের পথ কী?

মোহাম্মদ আলী আরাফাত : এ জায়গায় একটু পেশাদারত্ব লাগবে। আমার মনে হয়, গণমাধ্যমেরও কিছু সক্ষমতা থাকা দরকার। টিআইবি বা সিপিডির মতো সংস্থা- যারা গণমাধ্যমে প্রচার পেয়ে পরিচিত হয়েছে। তারা গবেষণার ফল হিসেবে যা উপস্থাপন করছে তা ফলাও করে প্রচারের আগে যাচাই করা উচিত। নইলে গবেষণার মোড়কে তারা নিজেদের বক্তব্য বা মতামত বাজারে নিয়ে আসতে চায়। এগুলো বাজারে নিয়ে এলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। তাই গণমাধ্যমের পক্ষ থেকেই যাচাই-বাছাইয়ের ব্যবস্থা থাকা উচিত। একটি কাঠামো তৈরির মাধ্যমে আস্তে আস্তে পেশাদারত্বের এই জায়গাগুলো নিয়ে আসতে হবে।

প্রবা : এই প্রক্রিয়া কীভাবে শুরু করবেন?

মোহাম্মদ আলী আরাফাত : সবার মতামত নিয়ে কাজ করব। আমার সঙ্গে কারও দূরত্ব নেই। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বিভিন্ন স্তরে আমার যোগাযোগ রয়েছে। যারা আমাদের সমালোচক, তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। আমি তাদের মতামতও নেওয়ার চেষ্টা করি, বোঝার চেষ্টা করি। কেন সমালোচনা করছেন- সেটা বোঝার চেষ্টা করি। পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা- সেটাও জানার চেষ্টা করি। এমনকি বিদেশিদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। কারণ আমি বিশ্বাস করি সম্পৃক্ততা এবং যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই। এর মাধ্যমে আরও বোঝার ও আলোচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। যোগাযোগ ঠিক থাকলে ভালো এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ থাকে। 

প্রবা : বিদেশিদের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে বললেন। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে বিদেশি দূতদের সঙ্গে আলোচনার সময়ও আপনাকে সরব দেখা গেছে। গুঞ্জন ছিল, আপনাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন। প্রধানমন্ত্রী কী ভেবে আপনাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন বলে মনে করেন? 

মোহাম্মদ আলী আরাফাত : আমি নিজেকে একজন বহুমাত্রিক মানুষ বলে মনে করি। দেশের স্বার্থে যখন যেখানে প্রয়োজন- সেখানে আমার সক্ষমতা অনুযায়ী আমি কাজ করার চেষ্টা করি। কোন পদে আছি তা বাছবিচার করি না। যখন কোনো পদে ছিলাম না তখনও তো বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করেছি। আমি নিজেকে বলি একজন ‘ফায়ার ফাইটার’। যেখানে আগুন লাগে সেখানে আগুন নেভানোর জন্য আমি চেষ্টা করি, সচেষ্টভাবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সুবিধা হচ্ছে সবার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করতে হয়। তথ্য সবারই লাগে। আমি তো মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। 

প্রবা : অপতথ্য ঠেকানোর কথা বলছেন। নতুন সরকারের শুরুতেই পাঠ্যক্রম নিয়ে ব্যাপক হইচই শুরু হয়েছে। ‘শরীফ শরীফার গল্প’ নিয়ে ব্যাপক ঝড় বইছে। এক্ষেত্রে তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনার কী করার আছে? 

মোহাম্মদ আলী আরাফাত : অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। এরই মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছি। আলোচিত বিষয়টিতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা খতিয়ে দেখে সমাধান করা হবে।

একজন মানুষ তো ব্যক্তিজীবনে সব কাজ সফলভাবে করতে পারে না। কিছু বিচ্যুতি-ব্যর্থতা থেকেই যায়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কিংবা সরকারের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমনই। কারণ সরকার তো মানুষই চালায়। এক্ষেত্রে আমাদের মনোভাবটা এমন- যেখানে ভুলত্রুটি থাকবে সেটা আমাদের নজরে এলে আমরা শুধরে নেব। ভ্রান্তভাবে অপতথ্য ছড়ানোর আগেই দ্রুততম সময়ে আমরা সঠিক তথ্য মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চাই। এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইলে- একটা গোষ্ঠী বরাবরই সেই চেষ্টায় থাকে, তাদের আমরা সেই সুযোগটা দেব না। 

প্রবা : বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক থেকে এখন আপনি পুরোদস্তুর রাজনীতিক। দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেলেন, সংসদ সদস্য হলেন, প্রতিমন্ত্রীও হলেনÑ এরপর আপনার লক্ষ্য কী?

মোহাম্মদ আলী আরাফাত : ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো লক্ষ্য নেই। আমার লক্ষ্য একটাইÑ রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ। এ দেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারা অব্যাহত থাকুক এবং দেশ উন্নয়ন অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাক। বিদেশি মোড়লদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে দেশকে সামনে একটা শক্তিশালী অবস্থানে নিতে চাই। দক্ষিণ এশিয়াতে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দেওয়ার পর্যায়ে নিতে চাই। 

প্রবা : আপনার দল আওয়ামী লীগ বিদেশি মোড়লদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে এগিয়ে চলেছে। বিশেষ করে নতুন সরকার গঠনের পর এ ব্যাপারে আপনাদের খুব আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে। এ শক্তি-সাহসের গোড়া কোথায়?

মোহাম্মদ আলী আরাফাত : গোড়া তো সেই ৭ মার্চের ভাষণে- দাবায়ে রাখতে পারবা না। এটাই আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। আমাদের দাবায়ে রাখা এত সহজ না। 

প্রবা : এই ব্যস্ততার মধ্যে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে সময় দেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ। 

মোহাম্মদ আলী আরাফাত : প্রতিদিনের বাংলাদেশকেও ধন্যবাদ। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা