প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০১:১৭ এএম
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:০৮ এএম
শাহরিয়ার কবির। সংগৃহীত ছবি
পাঠ্যপুস্তকে মুদ্রণ ও তথ্যগত ভ্রান্তি থাকলে তা দূর হতে পারে। তবে কোনো রচনা বা বিষয় প্রত্যাহার বা পরিবর্তন না করার আহ্বান জানিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমরা আশা করব পাঠ্যপুস্তকে মুদ্রণ ও তথ্যগত যেসব ভ্রান্তি আছে তা দ্রুত নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে কোনো অবস্থায় মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দাবি মেনে কোনো রচনা বা বিষয় প্রত্যাহার বা পরিবর্তন করা যাবে না।’
নির্মূল কমিটির সভাপতি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক নাগরিক সমাজের ধারাবাহিক আন্দোলনের কারণে এবং সাধারণ পাঠক্রম যুগোপযোগী করার প্রয়োজনে বর্তমান পাঠক্রমে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। তা সাধারণভাবে প্রশংসিত হলেও ‘৭১-এর গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সহযোগীরা যেভাবে নতুন শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে, এটাকে কঠোরভাবে দমন করা না হলে দেশ ও জাতির সামনে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘পাঠ্যক্রম নিয়ে বিতর্ক চলছে আজ প্রায় ৮০ বছর। বঙ্গবন্ধুর সরকার ব্যতীত আর কোনো সরকার শিক্ষা সংক্রান্ত নীতি বা পাঠক্রম দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। উপমহাদেশে, ভারতে এই বিতর্ক এখন চরমে। যেসব দেশে গণতন্ত্র স্থিতিশীলতা পেয়েছে এবং দৃষ্টিভঙ্গি মোটামুটি সেক্যুলার সেসব দেশে পাঠক্রম নিয়ে বিতর্ক হ্রাস পেয়েছে। যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম তৈরির জন্য সেখানে আলাদা সংস্থা আছে।’
দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতির জিডিপি বাড়ানো প্রয়োজন জানিয়ে মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নে জিডিপি যেভাবে বৃদ্ধি করেছেন তা আগে কেউ করেননি। সেই জিডিপি বৃদ্ধি পাবে ক্রমশ। এখন আমাদের দাবিÑ শিক্ষা-সংস্কৃতির জিডিপি বৃদ্ধির জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হোক। সেটি করার প্রথম পদক্ষেপ সরকারের পিছু না হটা এবং যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রয়োগ করা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে ঢেলে সাজানো। প্রতি বছর তারা কোনো না কোনো কেলেঙ্কারি করে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও আলোচনায় অংশ নেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম ও কলামিস্ট মমতাজ লতিফ।