প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:০৭ পিএম
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:১৭ পিএম
প্ল্যানার্স টাওয়ারে ‘স্থানীয় পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন : আগামীর চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীসহ বিভাগীয় কিছু শহরে পরিকল্পিতভাবে সামান্য উন্নয়ন হলেও জেলা-উপজেলা শহরে কিছুই হচ্ছে না। সেখানে যত্রতত্র শিল্পায়নসহ নানা অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু পরিকল্পনা করা হলেও সেটা কাজে দিচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে দেশে বড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন পরিকল্পনাবিদরা।
তারা বলছেন, কোন এলাকায় কী ধরনের উন্নয়ন হবে, তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে। এজন্য সব বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত করা যেতে পারে। যেখান থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়নের জন্য অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক থাকবে। একই সঙ্গে জাতীয় পরিকল্পনা কাঠামো, আঞ্চলিক পরিকল্পনা এবং স্থানিক পরিকল্পনা থাকা জরুরি। এতে দেশে টেকসই উন্নয়ন হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহজ হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে ‘স্থানীয় পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন : আগামীর চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বিআইপি। সংবাদ সম্মেলনে বিআইপি সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারি দলের দুটি বিশেষ অঙ্গীকার ছিল; ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ ও ‘স্থানীয় সরকার : জনগণের ক্ষমতায়’। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সরকারি দলের ইশতেহার ছিল ‘উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ সময় তিনি সরকারের ইশতেহারগুলো তুলে ধরেন এবং বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ নিয়ে পর্যবেক্ষণ দেন।
বিআইপি সভাপতি বলেন, সমৃদ্ধ দেশ করার লক্ষ্যে এবং পরিকল্পনা পেশার বিবেচনা নিয়ে ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স বাংলাদেশের জন্য স্থানিক পরিকল্পনা কাঠামো প্রণয়ন করেছে। বিআইপি প্রণীত এই স্থানিক পরিকল্পনা কাঠামো পরিকল্পনা ২০৪১, বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-সহ দেশের জাতীয় পরিকল্পনা ও নীতিতে পরিকল্পনায় যথাযথ অনুশীলন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
বিআইপির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনাবিদ আবু নাঈম সোহাগ, সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন, ফাহিম আবেদীন, তামান্না বিনতে রহমান, হোসনে আরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।