প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:১৩ পিএম
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:১৬ পিএম
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বিচার বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই চুক্তির বিষয়বস্তু সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এ বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলান।
বৈঠকের পর মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে। বৈঠকে সৌদি রাষ্ট্রদূত আইনমন্ত্রীকে জানান, মুসলিম বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোন হিসেবে মনে করেন এবং তারা এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে অত্যন্ত আগ্রহী। বৈঠকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক উন্নয়নেও তারা উভয়ই একমত পোষণ করেন।
বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সংসদে ৬৪৮ এমপি নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন।
সাংবাদিকরা এ সময় তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। মন্ত্রীরা যখন শপথ নেন তখন আগের মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও আগের সংসদ বাতিল হয় না। সেক্ষেত্রে আইনের অস্পষ্টতা আছে বলে আপনি মনে করেন কি না। সেটি স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না?
জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলব, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।
কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখনও জানি না। নীতি-নির্ধারকরা প্রয়োজন বোধ করলে কোন জায়গায় সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয় এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।’