প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:০৩ পিএম
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৭ পিএম
আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রবা ফটো
জলবায়ু পরিবর্তন এখন দেশের জন্য অস্তিত্বের সংকট বলে উল্লেখ করে বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘এই পরিবর্তনে পানির অনেক প্রভাব রয়েছে। হিমালয়ের বরফ গলে যাচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। পানিতে লবণাক্ততা বা যারা স্থানচ্যুত হচ্ছে, এসব ক্ষেত্রে কিন্ত পানির অনেক প্রভাব।’
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘ওয়াটার, রিভার্স অ্যান্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জ: ক্রিয়েটিং স্পেস ফর রেজিলেন্স’ প্রতিপাদ্যে অ্যাকশনএইড আয়োজিত নবম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পানিসম্পদ রক্ষা, সকলের জন্য পানির অধিকার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোর সঙ্গে কাজ করবে সরকার। সরকারি, বেসরকারি সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করে আমরা পানির সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। সকলের জন্য পানি নিশ্চিতে এবং সুরক্ষিত বিশ্বের জন্য আমাদের সকলকেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের টেকসই উন্নয়ন করতে হলে পানি, লবণাক্ততা, জলবায়ু ও নদীকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন শুধু অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়, এটি রাজনৈতিক সমস্যা।’
সাবের হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন জলবায়ু সংকটে রয়েছে। দেশের টেকসই উন্নয়ন করতে হলে পানি ও নদীকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতির অর্থ তারা পাচ্ছেন কি না সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
সুপেয় পানির সংকট একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু এটি সমাধান করতে হবে স্থানীয়ভাবে। সরকার এজন্য পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। সমাজের সব শ্রেণির ব্যক্তিদের একসঙ্গে কাজ করে প্রত্যেকের বেঁচে থাকার এবং উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় পানি পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের তরুণদের নদী রক্ষা ও পানির অধিকার নিশ্চিতে এগিয়ে আসতে হবে।’
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তজাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু ক্ষতিপূরণে ৫৫টি দেশের জন্য দরকার ৫২৫ বিলিয়ন ডলার। অথচ পাওয়া গেছে মাত্র ৮০০ মিলিয়ন ডলার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু সমাধান এখন একটি রাজনৈতিক সমস্যা, যা বাস্তবায়ন করা বড় চ্যালেঞ্জ।’
ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার নারদিয়া সিম্পসন বলেন, ‘জলবায়ু মোকাবেলায় অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষি, স্বাস্থ্যসহ নানা বিষয়ে কাজ করছে।’
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল জায়েদি, কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।