প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫৮ পিএম
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৩ পিএম
জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেমিনার আয়োজন করে ইআরডিএফবি। প্রবা ফটো
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইআরডিএফবি আয়োজিত ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ বক্তব্য উঠে আসে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ইআরডিএফবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান।
অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এবারের সংসদ নির্বাচন খুবই সুন্দর ও নিরপেক্ষ হয়েছে। এদেশের মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু মর্মান্তিক বিষয় হলো আগুন নিয়ে মানুষকে হত্যা করেছে। তারা ভোটেন আসেনি। প্রথম নির্বাচনে কখনও কী আওয়ামী লীগ হারেনি? মাত্র ৩৯ আসন পেয়েছিল আওয়ামী লীগ তবুও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। আমার প্রথম নির্বাচন ছিল হ্যাঁ-না ভোট। এই ভোটে আমি যখন ভোট দিতে গেলাম তখন দেখি হ্যাঁ ভোটের বাক্স সামনে, না পেছনে। আমার শিক্ষকরা বললেন বাবারা এখানে ভোটটা দিয়ে চলে যাও। চাকরিটা বাঁচাই। তাহলে ভোটের কারচুপি করা শুরু করেছিল?’
তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ভোট কেন্দ্রে যাননি। তাই কিছু ভোটকেন্দ্রে ভোটারের কম উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। ভোটের সন্ত্রাস এদেশে প্রচলন করেছে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দল। যখন কেউ তার কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনে হেরে যান তখন তার কাছে নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধু ভোটে অংশগ্রহণের পক্ষে ছিলেন, তাই সামরিক শক্তির অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করেছেন।’
অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, ‘চীন রাশিয়া, ইইউ, ইউএনসহ অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক জোট, সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। পিটার হাস জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চান। এই নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য নারী প্রার্থী অংশগ্রহণ করে গণতন্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। দেশের মানুষ ভোট দিয়ে আগুন সন্ত্রাসকে পরাজিত করে, গণতন্ত্রকে জয় করেছে।’