× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা হ্রাস পেয়েছে : সিইসি

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪১ পিএম

আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৩ পিএম

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি : সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি : সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় জাতি একটা চলমান সংকট থেকে উঠে এসেছে, যেটা নিয়ে উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা ছিল। তবে এটা স্থায়ী সমাধান নয়। নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। নির্বাচন নিয়ে যদি প্রতি পাঁচ বছর পর সংকট সৃষ্টি হয়, তাহলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। সেজন্য নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বেরও প্রয়োজন হবে একটি পদ্ধতি অন্বেষণ করা।’

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করায়’ ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিইসি। ৭ জানুয়ারি এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছে। অনেকে সুনাম করেছে, অনেকে অপবাদ দিয়েছে। দুটোই বিবেচনায় নিতে হবে। সরকারের সহায়তা ছাড়া এত বড় কর্মযজ্ঞ সফল করা সম্ভব হয় না। এখনও পত্রপত্রিকায় সমালোচনা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অবারিতভাবে বদনাম করা হচ্ছে। মূলধারার গণমাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ আলোচনা থাকে। নির্বাচন অনেকটা গ্রহণযোগ্যভাবে সুসম্পন্ন হয়েছে। সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বীকৃত হয়েছে। দুয়েকটি সংস্থা বলেছে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অজুহাত দিয়ে ইসি সরকারের গোপন অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। আমি জানি না সরকারে সঙ্গে আসলে কোনো গোপন অ্যাজেন্ডা হয়েছে কি-না। আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, আমার সঙ্গে হয়নি, অন্য কারও সঙ্গে হয়েছে কি-না সেটা জানি না।’

তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘ইসি কীভাবে অজুহাত দিল? রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়ে ওঠেনি, এজন্য চাইলে কি ৩০ বছর নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যেত?’

সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের যদি নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা না থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। নির্বাচন খুব যে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে তা নয়। নির্বাচন মোটাদাগে সার্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে গ্রহণযোগ্য না হলে একটা রাজনৈতিক সংকট থেকে যায়। একটা অংশ শুধু নির্বাচন বর্জন করেনি, প্রতিরোধ করারও ঘোষণা দেয়। সেদিন থেকে সংকট শুরু। নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তবে সবার সমন্বিত প্রয়াসে নির্বাচন উঠিয়ে আনা হয়েছে। সাময়িকভাবে হলেও জাতি স্বস্তিবোধ করেছে। নির্বাচন কমিশনও স্বস্তিবোধ করেছে।’

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘ঈমানের সঙ্গে কাজ করে সফল হয়েছি। যে স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছেছি, সে স্ট্যান্ডার্ড থেকে নামতে পারব না। আমরা দেখিয়ে দেব, কীভাবে এই কমিশন কাজ করে, যা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’

ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা একটা ভালো নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। না করতে পারলে হয়তো আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতাম। আমাদের সরকার সহায়তা দিয়েছে। না হলে একসুরে একভাবে কাজ করা সম্ভব হতো না। আশা করি, মান-সম্মানের সঙ্গে চলে যেতে পারব।’

ইসি মো. আলমগীর বলেন, ‘যেদিন আমরা শপথ নিয়েছিলাম, সেদিন থেকেই এই কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকা, আসন বিন্যাস, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, সংলাপ ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন সফলভাবে করতে পেরেছে ইসি সচিবালয়। দলগুলো যারা অংশগ্রহণ করেছে ও সরকার, সকলেই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে। আনসার থেকে শুরু করে সকলেই সহায়তা করেছে। সরকার একটি বিরাট শক্তি, তাদের সহযোগিতা যদি না পেতাম, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারতাম না। সব দল অংশগ্রহণ করলে আরও গ্রহণযোগ্য হতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘টকশোতে যখন নির্বাচন কমিশনের ওপর দায় চাপানো হয়, তখন খারাপই লাগে। অনেক সময় তারা না জেনে বা আংশিক জেনে মতামত দেন। তারা পণ্ডিত ব্যক্তি। অল্প জেনেই পুরোটা বলতে পারেন, লিখতে পারেন। তাদের পুরোটা জানা দরকার হয় না। কারা নির্বাচনে আসবে, তাদের আনার দায়িত্ব আমাদের না। আমরা আমাদের কাজকর্মের জন্য অত্যন্ত সন্তুষ্ট।’

ইসি মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে ছিলাম যে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে না পারলে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।’ ভোট পড়ার হারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাড়ে ৩টায় যদি শেষ ব্রিফ করত, তাহলে তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি হতো না।’

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশন সচিবালয়ের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা