প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৯ পিএম
গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং। ছবি : বাসস
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টরের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কেএম শাখাওয়াত মুন একথা জানিয়েছেন।
শাখাওয়াত মুন বলেন, ‘‘টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং। তিনি বলেছেন ‘এডিবি খুবই খুশি। এডিবি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত এডিবি’।’’
এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি খাত ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে গিনটিং বলেন, ‘কক্সবাজার এবং পার্বত্য জেলাগুলোতে জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্পে আমাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে চাই।’
বৈঠকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ ভবিষ্যৎ রূপকল্প বাস্তবায়নে ক্রমাগত সহায়তা করার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় লজিস্টিক অবকাঠামোর উন্নতি এবং পরিষেবা সরবরাহকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চ্যালেঞ্জের চাহিদা পূরণে প্রকল্প হাতে নিতে এডিবিকে অনুরোধ জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি যেহেতু উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে অগ্রসর হচ্ছে, তাই এটা আকাঙ্ক্ষিত যে এডিবি এমন প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য বড় ধরনের সহযোগিতা দেবে যা ডিজিটাল গ্যাপ কমিয়ে দেবে, বাণিজ্য প্রতিযোগিতা ত্বরান্বিত করবে, উন্নত ও কম কার্বন প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে, সবুজ শক্তি উৎপাদন করবে, জলবায়ু-সহনশীল কৃষির সম্প্রসারণ ঘটাবে, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, স্মার্ট সিটি গড়ে তোলা এবং দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।’
চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়া প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এডিবি তার পাইপলাইনে অতিরিক্ত কাউন্টারসাইক্লিক্যাল এবং পলিসিভিত্তিক ঋণ সহায়তার (পিবিএল) ব্যবস্থা রাখবে যাতে বাংলাদেশ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে অবিলম্বে সেগুলো ব্যবহার করতে পারে।’
১৯৭৩ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতি এডিবির প্রতিশ্রুতি ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে; যার মধ্যে ঋণের পরিমাণ ৩১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বর্তমানে, এডিবি বাংলাদেশের অর্থনীতির ৭টি প্রধান খাতের ৬১টি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এর মধ্যে পরিবহন, পানি ও শহুরে অবকাঠামো এবং সেবা, জ্বালানি, মানব ও সামাজিক উন্নয়ন, কৃষি, খাদ্য, প্রাকৃতিক ও গ্রামীণ উন্নয়ন, অর্থ, সরকারি খাত ব্যবস্থাপনা এবং শাসন খাত রয়েছে। সূত্র : বাসস