প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫৫ পিএম
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সংগৃহীত ফটো
কেন গ্যাস সংকট চলছে– কারণ জানিয়েছেন তৃতীয়বারের মতো বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পাওয়া প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, গভীর সমুদ্রে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল দুটিতে সংস্কার কাজ চলছে। যে কারণে এখন গ্যাসের সরবরাহ কিছুটা কম হচ্ছে।
কবে সমাধান হবে– প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই, আগামী মার্চে রোজার শুরুতে গ্যাস এবং বিদ্যুতের সরবরাহ যেন স্বাভাবিক রাখা যায়। মার্চের আগেই এলএনজি টার্মিনাল দুটি পুরোপুরি সচল হয়ে যাবে।’
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নসরুল হামিদ। চাহিদার বিপরীতে আগামী তিন বছরের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি খসড়া পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।
এ সময় আগামী মার্চ থেকে ‘ডাইনামি’ক পদ্ধতিতে তেলের মূল্য নির্ধারণ, গভীর সমুদ্রে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান, দেশীয় কূপ খননে গতিশীলতা এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে জ্বালানি খাতের নতুন চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন প্রতিমন্ত্রী
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের একটা টাইমলাইন ঠিক করে ফেলেছি। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন গ্যাস সরবরাহ থাকবে। এখন আমরা মাত্র ২০ শতাংশ গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করি। ৮০ শতাংশ নিজস্ব গ্যাস ব্যবহার করছি। আমদানির গ্যাসের অবস্থাটা খুব বেশি বড় করতে চাই না। আমদানির গ্যাস থাকবে, মাঝখানে যে গ্যাপটা থাকবে সেই গ্যাপটা আমদানির গ্যাস দিয়ে পূরণ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ভোলাতে যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, নতুন এরিয়াতে যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, পরবর্তী সময়ে যদি গভীর সমুদ্রে গ্যাস পাওয়া যায়– আমরা মনে করি একটা ভালো অবস্থায় জ্বালানি বিভাগ থাকবে। মনে হচ্ছে আমরা সুখবর পাচ্ছি।’
আসছে সেচ মওসুমে দৈনিক ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা উঠতে পারে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত পাওয়ার প্লান্ট রেডি আছে। এবার বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছি।’