× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জাতীয় সংসদ

স্বতন্ত্র এমপিরা পাচ্ছেন সর্বোচ্চ সংরক্ষিত ১০ নারী আসন

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৪ পিএম

স্বতন্ত্র এমপিরা পাচ্ছেন সর্বোচ্চ সংরক্ষিত ১০ নারী আসন

এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য জোটবদ্ধভাবে পেতে চলেছেন সর্বোচ্চ ১০টি সংরক্ষিত নারী আসন। এমন ঘটনা এর আগে আর ঘটেনি।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালের সংসদে ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর জোট পেয়েছিল একটি সংরক্ষিত নারী আসন। তার আগে ২০১৪ সালের সংসদে ১৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর জোট পেয়েছিল তিনটি নারী আসন। এরও আগে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৩২ জন স্বতন্ত্র এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ওই সময় সংসদে কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থেকেই সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নির্ধারণ করা হতো। ২০০৪ সালে জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন হওয়ার পর সংসদের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিতদের দল বা জোটের সদস্যসংখ্যার ভিত্তিতে সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টনের ব্যবস্থা চালু হয়।

এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ-২) ফরহাদ আহম্মদ খান গতকাল মঙ্গলবার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এবার সর্বোচ্চ ১০টি সংরক্ষিত আসন পেতে যাচ্ছে। এটি নজিরবিহীন।’ কবে নাগাদ সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হতে পারেÑ এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার পরপরই তফসিল ঘোষণা করতে হবে।’

এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২ আসন। এ দলের প্রাপ্য হতে পারে ৩৭টি সংরক্ষিত নারী আসন। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। দলটির পাওয়ার কথা দুটি নারী আসন।

ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলের সরকারি গেজেট প্রকাশের পর ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গতকাল ৯ জানুয়ারি নির্বাচনে বিজয়ীদের গেজেট প্রকাশ হয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে এ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এ নির্বাচনের ভোটার সাধারণ সংসদ সদস্যরা। যদিও ভোট গ্রহণের কোনো প্রয়োজন হয় না। ভোটের দিন নির্ধারিত থাকলেও নির্বাচনী তফসিল অনুসারে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন পার হওয়ার পর একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

সংবিধান অনুসারে, বর্তমানে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে। সংসদের আসনের সংখ্যানুপাতে নির্ধারিত এই নারী আসনে রাজনৈতিক দল বা জোটগুলো তাদের প্রাপ্য আসনের জন্য একক প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে থাকে। ফলে সদস্যরা বিনা ভোটে নির্বাচিত হন।

জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন ২০০৪ অনুযায়ী, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা শপথ গ্রহণ করেছেন তাদের তথ্য তিন কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ সচিবালয় থেকে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে। নির্বাচিতদের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরবর্তী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দল বা জোটগুলো বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের জোটের অবস্থান কমিশনকে জানাবে। আর গেজেট হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ইসি সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের রাজনৈতিক দল বা জোটওয়ারি সদস্যদের পৃথক পৃথক তালিকা প্রস্তুত করবে। তালিকাটি পরের কার্যদিবসে নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ্য কোনো স্থানে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। সংসদ সচিবালয়কেও এ তালিকার প্রত্যায়িত কপি পাঠিয়ে তা টাঙানোর জন্য বলা হবে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যদের জন্য কোনো নির্ধারিত নির্বাচনি এলাকা নেই।

সংবিধান অনুসারে, সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনকে ৩০০ (দেশের নির্বাচনী এলাকা) দিয়ে ভাগ করে প্রাপ্ত ভাগফলকে কোনো দল বা জোটের এমপি সংখ্যা দিয়ে গুণ করলে যে ফল পাওয়া যাবে, তারা তত সংখ্যক নারী আসন পাবে। গুণফল ভগ্নাংশ হলে শূন্য দশমিক ৫ বা তার থেকে বেশি ভগ্নাংশের জন্য একটি আসন পাওয়া যাবে। অবশ্য বণ্টন করা আসন সংখ্যা মোট আসনের থেকে বেশি হয়ে গেলে ভগ্নাংশের হিসাবে হেরফের হতে পারে। আইনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে লটারির বিধানও রয়েছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা