× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অপ্রতিরোধ্য শেখ হাসিনা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৪৬ পিএম

আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:০৮ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিকৃতি অঙ্কন : জয়ন্ত সরকার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিকৃতি অঙ্কন : জয়ন্ত সরকার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জয়ী হয়ে টানা চার মেয়াদসহ পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি

বঙ্গবন্ধুকন্যা থেকে বঙ্গনেত্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের মধ্য দিয়ে টানা চার মেয়াদসহ পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণকারী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তি। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন প্রায় পাঁচ দশকের। তার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর বহুল আলোচিত ওয়ান ইলেভেনের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। ২০০৮ থেকে ২০১৪ , ২০১৪ থেকে ২০১৮ এবং ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন শেখ হাসিনা। ৭ জানুয়ারি রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর তার নেতৃত্বে আবার সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

তিন মেয়াদে বিরোধীদলীয় নেতা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনসহ মোট আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। তার সংসদীয় আসন গোপালগঞ্জ-৩। তিনি ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন। দেশের জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে শেখ হাসিনার তুলনা নেই। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে তাকে বারবার গ্রেপ্তার ও গৃহবন্দি হতে হয়েছে। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে টানা আন্দোলনে তিনি ছিলেন অন্যতম প্রধান নেত্রী। দেশব্যাপী গড়ে ওঠা গণআন্দোলনে ১৯৯০ সালে পতন হয় এরশাদের। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সারা দেশে সর্বাধিক ভোট পেলেও আসন স্বল্পতায় ক্ষমতায় আসতে পারেনি।

রেকর্ড গড়ে বিশ্বনেত্রী

বিশ্বের ইতিহাসে শেখ হাসিনা একমাত্র ব্যক্তি যিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এতদিন দায়িত্ব পালন করছেন। এদিক থেকে তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী এবং ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারকে টপকে দীর্ঘ সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বের মধ্যে রেকর্ড গড়েছেন।

শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের একজন। তার অভিজ্ঞতাকে এখন যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় আন্তর্জাতিক মহল। দেশ, জনগণ এবং সার্বভৌমত্বের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান তাকে অন্য বিশ্বনেতাদের চেয়ে আলাদা করেছে।  ফোর্বস সাময়িকীর দৃষ্টিতে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় বারবার নাম এসেছে তার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফরেন পলিসি নামক সাময়িকীর করা বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০ বৈশ্বিক চিন্তাবিদদের তালিকায়ও তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি বিশ্ব নারী নেত্রী পরিষদের একজন সদস্য, যা বর্তমান ও সাবেক নারী রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীদের একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। 

বদলে যাওয়া বাংলাদেশের রূপকার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। উৎপাদন ও মাথাপিছু আয় বেড়েছে, দারিদ্র্য কমেছে। দেশটি মর্যাদা পেয়েছে উন্নয়নশীল দেশের। বাস্তবায়িত হয়েছে এবং হচ্ছে অনেক মেগা প্রকল্প। পদ্মা সেতু, ঢাকায় প্রথম মেট্রোরেল, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন জলজ্যান্ত বাস্তবতা। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করেও। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। রেলপথে যুক্ত হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার। বাজেট বেড়েছে, বেড়েছে সামাজিক নিরাপত্তা। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর শেখ হাসিনা এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন স্মার্ট বাংলাদেশের।

ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া রাজনীতির ফিনিক্স পাখি 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার শিকার হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও বিদেশে ছিলেন। ফলে ভাগ্যক্রমে তারা বেঁচে যান। শরণার্থী জীবনের প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে দ্বন্দ্ব-গ্রুপিংয়ে ক্ষতবিক্ষত আওয়ামী লীগের হাল ধরেন শেখ হাসিনা। এর আগে বিদেশে থাকা অবস্থায়ই তাকে দলীয় সভাপতি নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগ। ৪৩ বছর ধরে দলীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুবিহীন শূন্য অবস্থা থেকে সংগঠিত করে দলকে এনেছেন ক্ষমতায়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ এ পর্যন্ত ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দুর্বৃত্তরা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন এবং আহত হন তিনশর বেশি। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে লক্ষ্য করে আরেক হামলায় প্রাণ দেন ৭ জন। সব হামলা থেকেই ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান শেখ হাসিনা।

টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকা

১৯৫৪ সালে শেখ হাসিনা ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে তিনি পৈতৃক নিবাস ও জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাল্যশিক্ষা নেন। ১৯৬৫ সালে তিনি আজিমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের (সাবেক ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজে) ছাত্রী থাকা অবস্থায় ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনে অংশ নেন এবং কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়ার তার স্বামী। দুই সন্তানÑ সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা