গাজীপুরে নৌকা ৪টি, স্বতন্ত্র ১টিতে বিজয়ী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের পাঁচটি আসনের মধ্যে এক আসনে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক)। অপর চারটি আসনে নৌকা প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেছেন।

গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও গাসিকের একাংশ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল পেয়েছেন ৯২ হাজার ৭৮৮ ভোট।

গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর ও টঙ্গী) আসনে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৪৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দি পেয়েছেন ৮৪ হাজার ১২৯ ভোট।

গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর-পিরুজালী-মির্জাপরি-ভাওয়ালগড়) আসনে নৌকার প্রার্থী অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি ১ লাখ ২৬ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ পেয়েছেন ১ লাখ এক হাজার ৬৭৪ ভোট।

গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে বঙ্গতাজ কন্যা নৌকা প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি ৮৯ হাজার ৭২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমদে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৫ ভোট।

গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ ও গাসিকের একাংশ) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) আখতারুজ্জামান। তিনি ১২ হাজার ২৪৪ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬২ হাজার ৯৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৯৬ ভোট।

রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯ আসনে ব্যালট পেপারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। কিছু জায়গায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় ভোট বাতিল করা হয়েছে কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে। জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার, জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে সারা দিনে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশের মতো। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।