বেসরকারি ফল
সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:১৭ পিএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০১:১৯ এএম
সুনামগঞ্জের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন এক নারী। প্রবা ফটো
সুনামগঞ্জ জেলার ৫টি আসনের মধ্যে ৪টিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। শুধুমাত্র সুনামগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তা কাঁচি মার্কায় নির্বাচিত হয়েছে।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোট কেন্দ্রগুলো থেকে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ফলাফল জানা যায়। তবে
সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৬৮টি। বেসরকারি ফলাফলে এগিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার। প্রাপ্ত ভোট ১ লক্ষ ৯ হাজার ৯৮। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মনোনয়ন বঞ্চিত সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন কেটলি মার্কায় প্রাপ্ত ভোট ৪৬ হাজার ৭৮০।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১১১টি। বেসরকারি ফলাফলে এগিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন বঞ্চিত সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তা কাঁচি মার্কা নিয়ে প্রাপ্ত ভোট ৮০ হাজার ১৩৯। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন চৌধুরী) নৌকা প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ৫৪ হাজার ৯৯৪।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৪৫টি। বেসরকারি ফলাফলে এগিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান নৌকা প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৫। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তৃণমূল বিএনপির মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী। সোনালি আঁশের প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১১২টি। বেসরকারি ফলাফলে এগিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিক নৌকা প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ৯০ হাজার ৫৯০। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। লাঙ্গল মার্কা নিয়ে প্রাপ্ত ভোট ৩১ হাজার ৭২১।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৬৪টি। বেসরকারি ফলাফলে এগিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক নৌকা প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৪০৩। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী। ঈগল মার্কা নিয়ে প্রাপ্ত ভোট ৯১ হাজার ৫৮৮।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯ আসনে ব্যালট পেপারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। কিছু জায়গায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় ভোট বাতিল করা হয়েছে কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে। জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার, জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে সারা দিনে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশের মতো। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।