বেসরকারি ফলাফল
জেলা প্রতিবেদক, নোয়াখালী
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৪২ পিএম
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১০ পিএম
বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ কিরন। প্রবা ফটো
নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ কিরন। একই আসন থেকে এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার নির্বাচিত হলেন তিনি।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত ৯টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, মোট ১৪৯টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে ৫৬ হাজার ৪৩৭ ভোট পেয়েছেন কিরন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিনহাজ আহমেদ জাভেদ (ট্রাক প্রতীক) পেয়েছেন ৫১ হাজার ৮৮৫ ভোট। এই হিসাবে মামুনুর রশিদ কিরন ৪ হাজার ৫৫২ ভোটে মিনহাজ আহমেদ জাভেদকে পরাজিত করেছেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী-৩ আসনে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. মামুনুর রশিদ কিরন (নৌকা), স্বতন্ত্র মিনহাজ আহমেদ (ট্রাক), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের মহিউদ্দিন (চাকা), জাতীয় পার্টির ফজলে এলাহী সোহাগ (লাঙ্গল), জাসদের জয়নাল আবেদিন (মশাল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক দলের মো. সুমন আল হোসাইন ভূঁইয়া (ছড়ি)। এক পৌরসভা আর ১৬ ইউনিয়নের এই আসনে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরন ৫৬ হাজার ৪৩৫ ভোট পেয়েছেন। তবে তার পোস্টাল ভোট দুটা হওয়ায় মোট ভোট হয়েছে ৫৬ হাজার ৪৩৫টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিনহাজ আহমেদ জাভেদ (ট্রাক প্রতীক) ৫১ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়েছেন। এই হিসাবে মামুনুর রশিদ কিরন ৪ হাজার ৫৫২ ভোটে মিনহাজ আহমেদ জাভেদকে পরাজিত করেছেন।’
রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯ আসনে ব্যালট পেপারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। কিছু জায়গায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় ভোট বাতিল করা হয়েছে কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে। জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার, জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে সারা দিনে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশের মতো। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।