প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৬ পিএম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:১৩ পিএম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। ছবি : সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ভোটের আগের দিন শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় ভাষণ শুরু করেন তিনি। চার পৃষ্ঠার লিখিত ভাষণে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশনের প্রস্তুতি তুলে ধরার পাশাপাশি নাশকতা-সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। নাশকতা ও সহিংসতায় নির্বাচন কমিশন উদ্বিগ্ন। নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে দেশবাসীকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বানও জানান তিনি।
রাজনৈতিক সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, আলাপ আলোচনায় যেকোনো রাজনৈতিক সংকট নিরসন সম্ভব। সারা দেশে নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান সিইসি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে রবিবার সকাল ৮টায়। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে পরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিগত প্রশ্নে মতবিরোধের কারণে এবারের নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। নির্বাচনী সর্বজনীনতা প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। তারপরও ২৮টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। সর্বমোট ১ হাজার ৯৭১ জন প্রার্থী ২৯৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় বলা যাবে না।’
অনিয়মের সঙ্গে প্রার্থীদের জড়িত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক প্রার্থিতা বাতিল করা হবেও বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব নির্বাচনী অনিয়ম-অনাচার প্রতিহত করার আহ্বানও জানান তিনি।
এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ২৮টি দল। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন আর স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ আর ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী। এ ছাড়া ট্রান্সজেন্ডার ভোটারের সংখ্যা ৮৫২ জন।
৪২ হাজার ১০৩টি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। সব আসনেই ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেই অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রচার শুরু করেন, যা শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শেষ হয়েছে।