প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:০৮ পিএম
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৪০ পিএম
বুধবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। প্রবা ফটো
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আমরা একটা ফেয়ার ইলেকশন চাই যেন তা সর্বমহলে স্বীকৃত হয়। বিগত দিন থেকে আমাদের একটা অ্যাসেসমেন্ট রয়েছে, হয়ে যাওয়া ইলেকশনটা যেন কোনোভাবেই পোস্টপন্ড না হয়।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
৭ জানুয়ারির ভোট কেন আন্তর্জাতিক অগ্নিপরীক্ষা—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অগ্নিপরীক্ষা ঠিক ঐ সেন্সে না। আসলে ইলেকশন যদি গ্রহণযোগ্য মাত্রায় না যায়, এটা বিগত ১৯৯১ বা ১৯৯৬ আমার ঠিক সালটা মনে নাই। ঐ সময় নানা রকম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটা ভোট হয়েছিল। আপনারা ভালো বলতে পারবেন, সেই ইলেকশনটা (১৯৯৬) দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি। সেটা মাগুরা না ন্যাশনাল ইলেকশনই। তারপর সেই ইলেকশনটা কিন্তু দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি। ইলেকশনটা গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে অল্প দিনে আবারও একটা ইলেকশন হয়ে গেছে।’
গ্রহণযোগ্য ইলেকশন করার লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের মাথায় এই রকম যে—আমরা এই রকম কোনো ইলেকশন করতে চাই না যেটা নতুন করে দেশকে একটা সংকটের মধ্যে ফেলে। আমরা চাই একটা ইলেকশন হবে সরকার যে ফর্ম (গঠন) করবে সেই সরকার স্থায়ী রূপ নেবে। যখনোই সরকার অস্থায়ী অবস্থায় চলে যায় দেশ তখন বিপর্যয়ের মধ্যে চলে যায়। এই সেন্স থেকে হয়তো আমাদের মাথায় এসেছে আমরা একটা ফেয়ার ইলেকশন করব। আন্তর্জাতিক চাপ আমাদের অন্য কিছু না বা অন্য বিষয়ই না। কোনো দিক থেকে কোনো চাপ না।’
যেখানেই সহিংসতা হবে সেখানেই নির্বাচন কমিশন অ্যাকশনে যাবে বলে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের যতগুলো আয়োজন সব আয়োজনের মূল্য উদ্দেশ্য শান্তি-শৃঙ্খলার সঙ্গে ভোট পরিচালনা করা। পরিবেশ সুন্দর করার জন্য এবং সবাই যাতে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে সেজন্যই সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। যতটুকু দেখার সুযোগ হয়েছে আমরা বাইরের পরিবেশ দেখেছি তাতে মনে হয়েছে ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যতগুলো সংলাপ করেছি সবাই কিন্তু বলেছে সেনাবাহিনী নামান।’
ভোট বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের যেগুলো বাহিনী আছে তারা সবাই সক্ষম, সবকিছু উন্নতি হয়েছে।’
সব দল ভোটে আসার পরে ভোট করা সহজ না কঠিন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না। কারণ সব দল ভোটে আসার আগেও ভোট করি নাই, পরেও করি নাই। এটা আমার ফার্স্ট টাইম অভিজ্ঞতা। এটা সঠিকভাবে বলতে পারব না আসলে কী আর না আসলে কী। আগে অভিজ্ঞতা অর্জন করি তারপর বলতে পারব। সবাই আসলে কী হতো না আসলে কী হবে—এটা বলা কঠিন। আমরা তো উনাদের (ভোট বর্জনকারীরা) পাচ্ছি না, পেলে বলা যেত। তবে আমরা এটা বলতে পারি ভোট উৎসবমুখর হচ্ছে।’
সুষ্ঠু ভোট কাকে দেখাতে চান—জনগণ না আন্তর্জাতিক মহলকে—এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা সবাইকে সুষ্ঠু ভোট দেখাতে চাই। আমাদের দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বকে দেখাতে চাই। আন্তর্জাতিক বিশ্বের কথাটা আমাদের মাথায় রাখতেই হবে, কারণ আমরা গোটা বিশ্বের একটা অংশ। আমরা মনে করি, আমাদের একটা নৈতিক দায়িত্ব একটা ভালো ভোট করা।’
সরকার কি সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা করে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার কোন পথে হাঁটছে বলতে পারব না। কারণ সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো লিয়াজোঁ নাই। কোনো দিন সরকারের কারও সঙ্গে ওঠাবসাও নাই। তবে পেপার পত্রিকায় যা খবর পাচ্ছি সরকারও চায় একটা ফেয়ার ইলেকশন হোক।’