প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৫১ পিএম
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৩ পিএম
রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। প্রবা ফটো
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভোটারদের ভোট দিতে বাধ্য করা এবং কেউ ভোট দিতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া দুটোই মানবাধিকার লঙ্ঘন। তিনি বলেন, কেউ ভোট না দিলেও তার ইচ্ছা। এ ক্ষেত্রে জোর করা যাবে না। আর কেউ দিতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়াটাও অন্যায়।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, পৃথিবীতে কোনো কোনো দেশ আছে যেখানে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক, যেমন নিউজিল্যান্ড। কিন্তু আমাদের দেশে সে ধরনের নিয়ম নেই। সে কারণে আমি বলব কেউ যদি ভোট না দিতে যায় তাহলে সেটা তার ইচ্ছা কিন্তু কেউ যদি দিতে চায় তাকে বাধা প্রদান করা অনুচিত, আইনের বরখেলাপ এবং এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। একই সঙ্গে কাউকে যদি ভোট দিতে বাধ্য করা হয় সেরকম প্রমাণ থাকলে এটা আচরণবিধি লঙ্ঘন, অধিকার লঙ্ঘন।
ইসির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়েক দিন পরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সবাই জানি নির্বাচন একটি অধিকার, আমাদের সবার সাংবিধানিকভাবে আন্তর্জাতিক দলিল মোতাবেক নির্বাচন করা এবং নির্বাচিত হওয়া দেশের নাগরিকের অধিকার। সে অধিকারটি যাতে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং দেশের একটি সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে আলোচনার জন্য আমরা আজকে নির্বাচন কমিশনে এসেছিলাম।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বৈঠকে আমরা বিশেষত নির্বাচন পূর্বকালীন সময়ে আচরণ এবং কার্যক্রম, নির্বাচন সময়কার আচরণ এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ের আচরণের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল এটি আমরা অনেক সময় দেখেছি, নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করে রাতে এবং কর্মীরা বিভিন্ন রকমের উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যাহত হয়। সে ধরনের কিছু যেন না হয়ে থাকে সেজন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। নির্বাচনকালীন সময়ে অনেক ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি করা হয়। বিশেষ করে যারা সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য অথবা পঙ্গু বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাদের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেগুলো যেন না হয় এবং প্রত্যেক প্রার্থী যাতে করে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আমরা বলেছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন সেক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করে সেটা আমরা স্মরণ করে দিয়েছি।
কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময় আমাদের অভিজ্ঞতায় অতীতে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা অনেক ঘটেছিল এমন অবস্থা যেন কখনোই না হয়। সেই ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দরকার হলে যথাযথ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কৌশল নির্ধারণ করে তারা এই কাজটি সম্পন্ন করবেন সেজন্য আমরা বলেছি। আমরা চাই দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এজন্য আমাদের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে জনসংযোগ করে যাচ্ছি এবং করব।