প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৩৮ পিএম
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৪ পিএম
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ের নাশকতা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। ছবি : সংগৃহীত
নাশকতাকারীরা যাত্রী হয়ে উঠে তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, ’রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে এখন নিরাপদ রেলযাত্রায় নাশকতা করছে সন্ত্রাসীরা। তারা বাসের বদলে ট্রেনকেই এখন প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। পরিকল্পিত দুর্ঘটনা ঘটাতে ফিশপ্লেট খুলে দিচ্ছে। আজ ভোরে বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে তেজগাঁও এলে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তিনটি কোচ পুড়ে গেছে। চারজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।’
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ের নাশকতা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ট্রেনের একটি বগি থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ’রাজনৈতিক সন্ত্রাস ও নাশকতা নিরাপদ রেল চলাচলের জন্য হুমকি। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যোগাযোগ ব্যবস্থায় যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিল, সেখানে একমাত্র রেল চলাচল স্বাভাবিক ছিল। এখন রেলযোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ’নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিরাপদ রেলযাত্রাকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েছিল, এরপর থেকে রেলসম্পর্কিত সহিংসতা বাড়ছে। রেলকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে ফেলে হুমকি তৈরি করেছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ’রেলের নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। রেলপথের ব্যাপারে সহযোগিতা করে সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, বৈঠক হয়েছে, সন্ত্রাসীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে যেন রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে।’
রেলপথের বড় দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ’রেলপথে সরাসরি আক্রমণের প্রথম ঘটনা ঘটে ১৬ নভেম্বর। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের দুটি কোচে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরপর ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা এক্সপ্রেসে পরিকল্পিত নাশকতা করা হয়েছে। এ দুই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না হলেও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
পরের তিন দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ’২২ নভেম্বর সিলেটে উপবন এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়। ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে বিশ ফুট রেলওয়ে ট্রাক কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় একজন যাত্রী মারা যায়, ৫০ জন আহত হয়। ঘন কুয়াশার জন্য আস্তে চলছিল তা না হলে আরও বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল।’
রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতেই পারে, কিন্তু সহিংসতা করতে পারে না এবং সহিংসতা করে রেল চলাচল বন্ধ করা যাবে না, রেল চলাচল বন্ধ হবে না বলে মন্তব্য করেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।