পাভেল পার্থ, দুবাই থেকে
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:২০ এএম
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৪৯ পিএম
এক দিন বিরতি দিয়ে ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া দুবাই জলবায়ু সম্মেলনের দশম দিন চলছে। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের এই দিনে দুবাই জলবায়ু সম্মেলন পৃথিবীর টিকে থাকার সঙ্গে জড়িত ‘খাদ্য, কৃষি ও পানিকে’ প্রতিপাদ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছে। শেষ দুটি দিন থাকছে চূড়ান্ত দেনদরবার। দুবাই এক্সপো সিটির সম্মেলন যেখানে চলছেÑ এখানে লেবানন, বৈরুত, ইতালির বেশকিছু দামি রেস্টুরেন্ট আছে। হোমো সেপিয়েন্স মানুষের দুনিয়াব্যাপী বৈচিত্র্যময় খাদ্যভান্ড থাকলেও, সব খাবার কিন্তু সমান মর্যাদায় সর্বত্র জায়গা পায় না।
টানা মহামারির সঙ্গে এক নির্দয় যুদ্ধ নিয়ে বিষণ্ন দুনিয়া। সইতে হচ্ছে জলবায়ু বিপর্যয়ের আঘাত। প্রতিটি পণ্যের দাম প্রতিদিন ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। খাদ্যব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক নয়া-উদারবাদী এই করপোরেট বাজারকে প্রশ্ন করার কেউ নেই। অথচ দুনিয়াব্যাপী এখনও আমাদের সামনে খাবারের থালা নিয়ে হাজির গ্রামীণ গরিব নারী। ষাটের দশকে সিনথেটিক সার, বিষ আর কৃত্রিম সেচনির্ভর সবুজবিপ্লব চাপিয়ে দিয়ে মানুষের হাত থেকে খাদ্যজগৎ ছিনিয়ে নেয় বহুজাতিক কোম্পানি। আজ প্রমাণিত হয়েছে, সবুজবিপ্লবের মাধ্যমে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়লেও পৃথিবীর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ভয়াবহ ঝুঁকিতে আছে। প্রাণ-প্রজাতির বৈচিত্র্য ও লোকায়ত জ্ঞান বিনষ্ট হয়েছে। বর্তমানে যে খাদ্যব্যবস্থা টিকে আছে তা মূলত জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর, কার্বণ নিঃসরণকারী এবং প্রকৃতি ও সংস্কৃতি হন্তারক। দুবাই জলবায়ু সম্মেলনের প্রথম দিনেই জারি থাকা খাদ্যব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্বনেতৃত্ব চলমান বৈষম্যমূলক খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তরের কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু এই রূপান্তর কার নেতৃত্বে এবং কীভাবে ঘটবে তা আলোচনায় আনতে হবে।
খাদ্যব্যবস্থার রূপান্তরের বিষয়টি মেহনতি কৃষক ও খাদ্য উৎপাদকদের জন্য ‘সুযোগ’ নাকি নতুন কোনো ‘কর্তৃত্ব’ তা স্পষ্ট করতে হবে। এখনও দুনিয়াব্যাপী প্রাকৃতিক পদ্ধতি ও বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষা করে বহু খাদ্য উৎপাদনের নজির আছে ক্ষুদ্র কৃষকের। কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা, প্রাকৃতিক বা জৈব কৃষি নানা নামে। খাদ্যব্যবস্থার রূপান্তর নিয়ে দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু আলোচনায় পৃথিবীর বহু দেশের নানা ক্ষেত্রের মানুষ এক ন্যায্য, বৈচিত্র্যময়, জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত, পুনঃবিকশিত, স্থানীয়, নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং প্রাকৃতিক খাদ্যব্যবস্থাকে ভবিষ্যতের খাদ্যব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছেন।
বহুজাতিক কর্তৃত্বের খাদ্যব্যবস্থা ভয়াবহভাবে বৈচিত্র্যকে বিনাশ করে। জলবায়ু পরিবর্তন এই অবস্থাকে আরও দুঃসহ করে তোলে। বাংলাদেশের মধুপুরের চুনিয়া গ্রামের সাংসারেক মান্দি দার্শনিক জনিক নকরেক জানিয়েছিলেন, ‘...ভূমি আমাদের কাছে খুব পবিত্র, আমাদের পূর্বজনেরা এই জমিতে ঘুমিয়ে আছেন, তারা মানুষসহ পশুপাখি সবার খাদ্য উপহার দেন, আমরা হাবাহুয়া বা জুম আবাদের মাধ্যমে সেই খাদ্য তাদের কাছ থেকে গ্রহণ করি, কৃতজ্ঞতা স্বীকারের জন্য আবার ওয়ান্না উৎসব আয়োজন করি। মাটির ভেতর কেঁচো, উই, মাকড়সা, পিঁপড়া, শামুক এরা আমাদের পরিবারের অংশ। বিষ দিয়ে আমরা কেন তাদের মারব, নিজের পরিবারের সদস্যদের মেরে যে খাবার আমরা চাষ করি তা কীভাবে আমরা মুখে দিতে পারি?’ বিশ্বব্যাপী কৃষক, জেলে, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে খাদ্য এক পবিত্র সত্তা। কিন্তু এই সত্তা নির্দয়ভাবে চুরমার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন মিনেসোটার বিখ্যাত শেফ সিয়েন শেরম্যান। ওগলালা লাকোটা আদিবাসী জাতিসত্তার এই শেফ হারিয়ে যাওয়া আদিবাসী লোকায়ত খাদ্য সুরক্ষায় কাজ করছেন, একটি রেস্টুরেন্টও দিয়েছেন।
আলাপকালে তিনি জানান, রাসায়নিক দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আদিবাসীদের বুনো ধানগুলো চাষ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। মেপল চিনি এবং নদীর মাছ প্রায় হারাতে বসেছে। ওয়াল্লেই নামের মাছটি এখন খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। বাংলাদেশের রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তানদীর পারে কোলকেন্দি জেলেপাড়াতে এমন হারিয়ে যাওয়া এক মাছের নাম জেনেছিলাম। উড়ুয়া নামের সেই মাছটি খরা মৌসুমে পাওয়া যেত, কিন্তু খরার দিন দীর্ঘতর হওয়ায় এবং রাসায়নিক দূষণে এমন বহু মাছ এখন নিখোঁজ। মিনেসোটা কী কোলকেন্দি, পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাবান ও ক্ষমতাহীন দুই অঞ্চলের ওয়াল্লেই কিংবা উড়ুয়া মাছদের কিন্তু চলমান খাদ্যব্যবস্থা বাঁচাতে পারছে না।
আফ্রিকার দেশ বার্কিনা ফাসোর আবদুলায়ে ওদ্রাওগো প্রাকৃতিক কৃষি এবং কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা নিয়ে কাজ করেন। প্রাকৃতিক কৃষি নিয়ে কর্মরত সংগঠনের একটি জোট সিনাবায়োর প্রধান হিসেবে তিনি দুবাই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। জানালেন, ‘নিরাপদ কৃষি ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে এই সম্মেলনে তেমন কোনো অঙ্গীকার নেই, আমরা যাই করি না কেন আমাদের খাদ্যকে প্রথমত নিরাপদ করতে হবে।’ টেকসই কৃষি, খাদ্যনিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু ন্যায্যতা নিয়ে বেসরকারি সংস্থা কেয়ার-নেপালের হয়ে কাজ করছেন জীবনাথ শর্মা। আলাপকালে হিমালয় অঞ্চলের পরিবেশ ও জীবিকাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানালেন, কারণ প্রচুর হিমবাহ গলছে এবং পাহাড়ি এলাকায় আগের মতো কৃষি উৎপাদন হচ্ছে না।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইনোভেশন কমিশনের’ প্রতিনিধি গ্লোরিয়া ক্যারিয়নের সঙ্গে এক দীর্ঘ আলাপে তিনি জানান, তাদের সংগঠন জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় স্থানীয়ভাবে প্রযোজ্য ইনোভেশনগুলো নিয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে তারা বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, জৈবসার, আবহাওয়া পূর্বাভাস, বিকল্প আমিষ, মিথেন নিঃসরণ হ্রাস, সামাজিক সুরক্ষা এবং ডিজিটাল কৃষি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
সবুজবিপ্লব এজেন্ডা না মেনে যারা কৃষিপ্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করে প্রাকৃতিক কৃষির চর্চা করেছে, তাদের সামনে বহু চোখরাঙানি ও কুতর্ক হাজির করা হয়েছে নানাসময়। দেশি জাতের বীজে ফলন কম হয়, অর্গানিক খাবারের দাম বেশিÑ এ রকমের নানা কিছু। আজ রাসায়নিক খাদ্যব্যবস্থার কারণে পৃথিবীব্যাপী স্থূলতা, ক্যানসার ও নানা দুরারোগ্য ব্যাধি বাড়ছে। এমনকি মাটি, পানি, বায়ু কোনোকিছুই সুস্থ নেই। শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকটকে আড়াল করে ‘অর্গানিকের’ বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা তর্ক হাজিরের আপ্রাণ চেষ্টা করেছে বহুজাতিক কোম্পানির দালালরা। শ্রীলঙ্কা থেকে সম্মেলনে যোগ দেওয়া ‘লংকা অর্গানিক অ্যাগ্রিকালচারাল মুভমেন্টের (লোয়াম)’ প্রতিনিধি থিলাক কারিয়াওয়াসাম দুবাই সম্মেলনে এক আলোচনায় জানান, ‘শ্রীলঙ্কার খাদ্য ও উৎপাদন ঘাটতির সঙ্গে অর্গানিক চাষ পদ্ধতির কোনো সম্পর্ক নেই, রাষ্ট্র কোনোকিছু বিবেচনা না করে রাতারাতি এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে মূলত ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে কৃষকদের, রাসায়নিক থেকে নিরাপদ অর্গানিক কৃষিতে রূপান্তর করতে হলে পর্যায়ক্রমে এটি করতে হবে, আর এটি কেবল চাষাবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় নয়, বাজার অর্থনীতি ও ভোক্তা অধিকার ও রাষ্ট্রের নীতি নানাকিছু এর সঙ্গে জড়িত।’ ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অর্গানিক অ্যাগ্রিকালচার মুভমেন্টস’ বা সংক্ষেপে ‘আইফোম’ হলো বিশ্বব্যাপী অর্গানিক ও নিরাপদ প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন বিষয়ে কর্মরত সংগঠনসমূহের একটি বৈশ্বিক মঞ্চ। এই মঞ্চের এশিয়া প্রতিনিধি হিসেবে দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়া ড. শেখ তানভীর হোসেন এক আলোচনায় বলেন, ‘...কপে কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন নিয়ে কথা হলেও সার্বিক খাদ্যব্যবস্থা নিয়ে তেমন আলোচনা হচ্ছে না। খাদ্যব্যবস্থাকে অবশ্যই অর্গানিক হতে হবে এবং নিরাপদ হতে হবে।
খাদ্যব্যবস্থাকে অর্গানিক করতে গেলে আমরা পৃথিবীকে দূষণমুক্ত করতে পারব। একই সঙ্গে অর্গানিক খাদ্যব্যবস্থা কার্বন নিঃসরণ কমাতে সহযোগিতা করবে এবং বিশ্বের ক্ষুদ্র চাষি ও খাদ্য উৎপাদকের জন্য জলবায়ুঝুঁকি মোকাবিলায় সহযোগিতা করবে। বিপজ্জনক খাদ্যব্যবস্থার বাহাদুররা দুবাই জলবায়ু সম্মেলনেও তাদের বহু লবিস্ট নিয়োগ করেছেন। তারা বিভিন্ন বিষ কোম্পানি, মাংস কোম্পানি আর খাদ্য কোম্পানি থেকে এসেছেন। বিভিন্ন অধিবেশনে নানা তর্ক তুলছেন। ঠিক সবুজবিপ্লব চাপিয়ে দেওয়ার সময় যেমন বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দাতা সংস্থা, কোম্পানি, সিজিআইএআর, বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞানী, গণমাধ্যম এবং রাষ্ট্রীয় প্রশাসন নানাভাবে সবাইকে যুক্ত করে একটা ওপর থেকে চাপানো ‘ন্যারেটিভ’ দাঁড় করানো হয়েছিল। দুবাই জলবায়ু সম্মেলনও বিশ্বব্যাপী কৃষকের আহাজারি, বঞ্চনা এবং জলবায়ু উদাহরণগুলো শুনছে না; তাহলে কি সবুজবিপ্লবের পর আরেক জিনবিপ্লব বা ‘মিথ্যা জলবায়ু সমাধান’ প্যাকেজ নিয়ে বহুজাতিক কর্তৃত্বের কাছে জিম্মি হতে চলেছে ভবিষ্যৎ খাদ্যব্যবস্থা?
দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে আফ্রিকা, এশিয়া, লাতিন আমেরিকার বহু দেশের কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনের গল্প শুনেছি। প্রায় সব দেশেই তরুণ প্রজন্ম কৃষক হিসেবে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে চায় না। তার মানে এখনও কি বিশ্বব্যাপী কৃষক পরিচয়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি? তাহলে ভবিষ্যৎ খাদ্যব্যবস্থার রূপান্তর জাতিসংঘ কার হাতে দিতে চায়? এমনকি দেখা গেছে চলমান খাদ্য ও কৃষিব্যবস্থা সব কৃষকের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে পারছে না। ভারতের গুজরাট থেকে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন লবণচাষি সঙ্গীতা মেরাথুর। জানালেন, অনাবৃষ্টি বাড়ার কারণে আগের মতো লবণ তৈরি করা যাচ্ছে না, প্রায় আট মাস এখন অনাবৃষ্টি হচ্ছে, লবণ তৈরি না করতে পারলে আয় না করতে পারলে মেয়েদের ওপর নির্যাতনও বাড়ছে। দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে ভেগান এবং মাংস কোম্পানির ভেতর সমাধানহীন বিতর্ক হয়েছে কয়েকটি অধিবেশনে। ব্রাজিলের ‘কৃষি বনবিদ্যা’ নিয়ে কর্মরত কৃষক কারিনা গঞ্জালেস ডেভিড কিংবা ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের প্রাকৃতিক কৃষি চর্চাকারী বিজয় কুমার যখন নিজেদের কৃষির গল্পগুলো তুলে ধরেন বা বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে যখন কৃষকের আবিষ্কার লোকায়ত ভাসমান চাষের বিবরণ প্রদর্শিত হয়, তখন মনে হয় দুনিয়াব্যাপী বিস্তৃত এসব খাদ্য উৎপাদনের গল্পগুলো একত্র করা জরুরি। আর এসবই আমাদের ভবিষ্যৎ খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তরের সত্যিকারের পথ দেখাতে পারে। প্রাকৃতিক কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তর নিয়ে কর্মরতদের সঙ্গে ‘ফিউচার ইকোনমি ফোরাম প্যাভিলিয়নে’ আলাপ করতে বসেছিলেন সাংবাদিকরা। ইংরেজি দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের পরিবেশ সম্পাদক ফিওনা হার্ভে প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বলেন, ‘...মাটি ও মানুষের স্বাস্থ্য একসূত্রে গাঁথা। সারা পৃথিবীতে উভয় স্বাস্থ্য রক্ষায় যত ধরনের কৃষি উদাহরণ ও খাদ্যচর্চা আছে, সেসব গল্প আমাদের শুনতে হবে। কৃষক, ভোক্তা, আদিবাসী, খাদ্য উৎপাদক সবাইকে একত্র হতে হবে। এই গল্প সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।’ বিশ্বময় কৃষকের সত্যিকারের গল্পের শক্তিতেই রূপান্তর ঘটবে ভবিষ্যতের খাদ্যব্যবস্থার। আমাদের সবাইকে এই গল্পের সাথী হওয়া জরুরি।