প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
মিরপুরের রূপনগর
খাল দিয়ে তুরাগ নদী পর্যন্ত নৌপথ চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের
(ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নৌপথ চালুর মাধ্যমে যানজট যেমন কমবে
সেই সাথে পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে। আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি মিরপুরের রূপনগর খাল
দিয়ে তুরাগ নদী পর্যন্ত নৌপথ চালু করা হবে।’ রবিবার (১০ ডিসেম্বর) ডিএনসিসির ৬ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় খেলার মাঠ, পার্ক ও কবরস্থান
পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘রূপনগর খালে মোট ১১টি ব্রিজ রয়েছে। সেখানে আর্চ ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে এই পথে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। এই শহরকে বাঁচাতে ন্যাচার বেজড সলিউশন করতে হবে।’ ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি ও ডেভেলপার কোম্পানি নকশায় মাঠ, পার্ক ও ফাঁকা জায়গা দেখিয়ে অনুমোদন নেয়। প্লট বিক্রির সময় তারা নকশায় খেলার মাঠ, পার্ক, ওয়াকওয়ে ও বাজার দেখিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলো, জায়গার দাম বাড়ায় তারা, কিন্তু খেলার মাঠ এবং বাজারও প্লট আকারে বিক্রি করে দেয়। আমি ইস্টার্ন হাউজিংকে বলেছি, নকশা অনুযায়ী খেলার মাঠ, পার্ক ও কবরস্থান নির্মাণ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘পরিদর্শনে এসে দেখলাম জনগণের জন্য একটি পার্ক, কবরস্থান ও খেলার মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশের জন্য এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতএব ডেভেলপার কোম্পানিকে নকশা অনুযায়ী মাঠ ও পার্ক নির্মাণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন,
‘ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার টেকসই উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই
ড্রেনেজ, রাস্তা, ফুটপাত ও ব্রীজের কাজ শুরু হবে। এই এলাকায় একের পর এক বড় বড় ভবন নির্মাণ
হচ্ছে। কিন্তু আমাদের শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য মাঠ ও পার্ক নির্মাণ করতে হবে। শুধু
ভবন নির্মাণ করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক বিকাশ হবে না। আজ যে পার্ক ও মাঠ পরিদর্শনে
আসলাম, আগেও আমি এখানে এসেছিলাম। তখন এখানে ময়লার ভাগাড় ছিল, নির্মাণ সামগ্রী রেখে
এটি দখল করা ছিল, এখানে গরু লালন-পালন করা হতো। দখলমুক্ত করে আজ পার্ক ও খেলার মাঠ
জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলো। সবাই এখানে খেলাধুলা করবে।’
সাংবাদিকের
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘এই জায়গা ভবিষ্যতে প্লট আকারে বরাদ্দ দেওয়ার
কোন সুযোগ নেই। আগে যদি বরাদ্দ হয়ে থাকে তাদের অন্য জায়গায় প্লট দিতে হবে। এই এলাকার
মালিক সমিতিকে আহবান করব এগুলো দেখে রাখার জন্য। জনগণ সম্পৃক্ত হলে মাঠ ও পার্ক কেউ
দখল করতে পারবে না। ইস্টার্ন হাউজিং কোম্পানিকে অনুরোধ করব, মাঠটির চারপাশে দর্শকরা
যেন বসে খেলা দেখতে পারে সেজন্য গ্যালারির ব্যবস্থা করে দবেন।’
এ সময় অন্যান্যের
সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, তত্ত্বাবধায়ক
প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, ৬ নং ওয়ার্ড
কাউন্সিলর মো. তাইজুল ইসলাম চৌধুরী (বাপ্পি) প্রমুখ।