প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৫০ পিএম
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০৫ পিএম
টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) দুই মন্ত্রী, এক প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ কার্যকর হতে পারে সোমবার (২৭ নভেম্বর)। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরপরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ৪৮ জন। তাদের মধ্যে ২৫ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে ২০ নভেম্বর পদত্যাগ করেন টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী, এক প্রতিমন্ত্রী। হলেন– বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। ফলে বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ৪৫ জন।
এ ছাড়া একই দিন প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দেন। তারা হলেন– প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্র জমা দিলেও তা কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত তাদের অফিস করতে বাধা নেই।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে টেকেনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগ কার্যকর করার পদ্ধতি আছে, সেই প্রক্রিয়াটা আমরা শুরু করেছি।’
এদিকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রী এমন আভাস দিয়েছেন– ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এ উপলক্ষে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার আকার ছোট করার কথা ভাবছে সরকার– সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রী এমন আভাস দিয়েছেন। এর মধ্যে রবিবার আওয়ামী লীগ ঘোষিত মনোনীত প্রার্থীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন তিন সদস্য। তারা তিনজনই প্রতিমন্ত্রী। এই প্রতিমন্ত্রীরাও মন্ত্রিসভায় থাকবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্র।
মনোনয়নে বাদ পড়া প্রতিমন্ত্রীরা হলেন—সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে কেএম খালিদকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আবদুল হাই আকন্দকে। আবদুল হাই আকন্দ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বর্তমানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। খুলনা-৩ আসনে মন্নুজান সুফিয়ানকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেনকে। কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জাকির হোসেনকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিপ্লব হাসানকে। বিপ্লব ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা।