স্মরণসভায় বক্তারা
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ২১:২১ পিএম
প্রয়াত কাজী শাহেদ আহমেদ স্মরণে শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরে নাগরিক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। প্রবা ফটো
জেমকন গ্রুপ এবং আজকের কাগজের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক কাজী শাহেদ আহমেদ ছিলেন স্রোতের বিপরীতে হেঁটে যাওয়া মানুষ। তিনি নিজেকে কোনো এক বিষয়ে গন্ডিবদ্ধ করে রাখেননি। তিনি ছিলেন একজন নির্ভীক সাংবাদিক; যিনি স্ফুলিঙ্গ তৈরি করে প্রত্যেককে তার মতের মধ্যে নিয়ে আসতে পারতেন।
প্রয়াত কাজী শাহেদ স্মরণে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত নাগরিক স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রাক্তন মূখ্যসচিব কামাল আহমেদ বলেন, সকল বর্নাঢ্য জীবন স্মরণীয় হয় না। কাজী শাহেদ আহমেদের জীবন আগামী প্রজন্মের জন্য স্মৃতিময় ও স্মরণীয়। নিবেদনের ভেতরে অসাধারণ কিছু যদি থাকে, সেখানে কিছু হারায় না, কর্ম হারায় না, স্বপ্ন হারায় না– কাজী শাহ্দে আহমেদ ছিলেন তেমন একজন মানুষ।
কাজী শাহেদ আহমেদের ছেলে কাজী আনিস আহমেদ বলেন, বাবার ব্যক্তিত্ব যেমন ছিল, তাকে ঘিরে যত গল্প তা মানুষের জন্য মনরন্জনেরও। তিনি একজন প্রতিভাবান, কর্মব্যস্ত মানুষ ছিলেন। স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে ভালোবাসতেন। কাজের ব্যাপারে তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ ও অধ্যাবসয়ী।
আজকের কাগজের সাবেক কর্মী জনপ্রিয় সাংবাদিক জ ই মামুন বলেন, কাজী শাহেদ আহমেদ একজন অনুপ্রেরণা। তাকে দেখে, তার কথা শুনে সাহস পেতাম; যা আমার কর্মজীবনে কাজে লেগেছে। তিনি কাজের মাধ্যমে তরুণ প্রাণকে উদ্বুদ্ধ করতেন।
অ্যাপেক্স গ্রুপের নাসিম মন্জুর বলেন, এক ব্যক্তির কতরকম রূপ। তিনি একাধারে প্রকৌশলী, সেনাবাহিনী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সাহিত্যিক। স্রোতের বিপরীতে চলে তিনি অন্যদের উদ্বুদ্ধ করতে পারতেন।
লেফটেন্যান্ট (অব.) জহিরুল আলম একসঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, আমি নিজেকে সব সময় কাজী শাহেদের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেই। তিনি যেখানে আছেন, আমি বিশ্বাস করি তিনি শান্তিতে আছেন।
কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, আমি যখন নূরজাহান উপন্যাস লিখলাম। কাজী শাহেদ আহমেদ সেটা তার কাগজে ধারাবাহিকভাবে ছাপলেন। তিনি সংবাদপত্রের চেহারা বদলে দিয়েছিলেন। আত্মজীবনীতে কিছু লুকাননি। তার কস্টের দিনগুলোর কথা আনন্দ নিয়ে লিখেছেন। কোনো কোনো মানুষ মৃত্যুকে জয় করে তার কাজের মধ্য দিয়ে। তিনি আমাদের নয়নে নয়নে থাকবেন।
কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, একসময় সবাইকে চলে যেতে হয়। কাজী শাহেদ আহমেদ স্মরণযোগ্য সবার কাছে। তিনি ছিলেন দায়িত্বশীল পারিবারিক মানুষ। তার মতো সাহসী নির্ভিক সাংবাদিক আমি কম দেখেছি।