প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:০০ পিএম
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৭ পিএম
জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন। প্রবা ফটো
নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আক্রমণের ভয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থী হারলেও সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হয় আবার জিতলেও হয়। দেশে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সব সময় আতঙ্কে থাকেন। তাই নির্বাচনের দুদিন আগ থেকে পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘু এলাকাতে বিজিবি ও র্যাবের টহলের ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন যদি সহিংস হয় তবে তার ভুক্তভোগী হয় ধর্মীয় সংখ্যালঘু জাতিগুলো। এবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হলে আমরা বসে থাকব না। নির্বাচনের আগে ও পরে যেন সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো আক্রমণ না হয় সেদিকে নজর রেখে নির্বাচন কমিশনকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের দাবি আদায়ে একদিকে আন্দোলন অন্যদিকে আলোচনার ব্যবস্থা থাকবে। যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় না হয়, ততদিন পযর্ন্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘুরাও মাঠে থাকবে।
সংখ্যালঘুরা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে তাই আট দফা দাবি জানায় সংগঠনটি। সেগুলো হলো- নির্বাচনকে সহিংসতামুক্ত রাখতে নির্বাচন কমিশনসহ সব দলের ভূমিকা; সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গঠন; নির্বাচনী প্রচারণায় ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার না করা; সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় টহলের ব্যবস্থা; সবাই সংখ্যালঘুর নিরাপত্তায় পদক্ষেপ নিতে অবহিত; প্রার্থনার জায়গাকে প্রচারণায় ব্যবহার না করা; গুজব, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য কেউ দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা; নির্বাচনের দুদিন আগে থেকে টহলের ব্যবস্থা করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিক, নির্মল রোজারিও, ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য রঞ্জণ কর্মকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ।