অস্ত্র হাতে রাতে নয়, সরকার হবে ভোটের মাধ্যমে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের সব সময় লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। ভোটের মধ্য দিয়েই সরকার গঠন হবে, অস্ত্র হাতে না, রাতের অন্ধকারে না।’

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরকারে আসার পর থেকে একের পর এক নির্বাচন হয়েছে। এখানে নানা ধরনের অনিয়ম দেখেছি। যখনোই আমরা সুযোগ পেয়েছি সেগুলো সংশোধন করে জনগণের ভোটের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয়, তার ব্যবস্থা করেছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন পর্যন্ত করে দিলাম। আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’— এই স্লোগান দিয়ে আমরা মানুষকে তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করি এবং ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করি।’

টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা তৃণমূলের মানুষকে লক্ষ্য রেখেই করা। শুধু মুষ্টিমেয় লোক লাভবান হবে—যা ক্ষমতায় এলে স্বৈরশাসকরা করত, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে কিছু এলিট শ্রেণি তৈরি করত, হাতে সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য, ধন-সম্পদ তুলে দিয়ে, তাদের ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করত, আমাদের সেটা ছিল না। আমাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের ক্ষমতায়ন। তৃণমূলের মানুষ যাতে ক্ষমতা পায় তা নিশ্চিত করা।’

সরকারপ্রধান বলেন, ’জনগণের যে ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিল, ‘আমরা সেই ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ ও আমাদের যে দলগুলো নিয়ে জোট করি, সে জোটের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিয়েছি। প্রথমে পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলাম, তখন দেশের অনেক অগ্রগতি করেছিলাম। কিন্তু পরে দেশের স্বার্থ বিক্রি করতে চাইনি বলে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। তারপর থেকে বাংলাদেশ একটি জঙ্গি, দুর্নীতির দেশ এবং আরও ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উপনীত হয়। সেসব প্রতিঘাত পার হয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসন পায়। সেবার বিএনপি আসন পেয়েছিল মাত্র ৩০টি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সুপরিকল্পনা নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করি। কারণ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ একমাত্র রাজনৈতিক দল, অর্থনৈতিক নীতিমালা সেটিও আমরা নতুনভাবে গ্রহণ করি যে, আমরা সরকারে গেলে কীভাবে এ দেশের উন্নতি করব। আমাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা সব সময় তৃণমূল মানুষদের কথা মাথায় রেখে করা হয়।’