প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:১২ পিএম
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:২২ পিএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে সদরঘাট থেকে সারা দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সদরঘাট থেকে তোলা ছবি। ফোকাস বাংলা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে সদরঘাট থেকে সারা দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্মপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আজ সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার নদীবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর নৌ বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ কারণে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, নদীবন্দরে এমনিতে ২ নম্বর সংকেত থাকায় সকালে ৬৫ ফুটের নিচের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এখন বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় সম্ভাব্য আগাম সতর্কতা হিসেবে অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএ ভোলা নদীবন্দরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভোলার ইলিশা-মজু চৌধুরী হাট, দৌলতখান-আলেকজান্ডার, মির্জাকালু-আলেকজান্ডার, তজুমদ্দিন-মনপুরা, নাজিরপুর-কালাইয়া, ভেলুমিয়া-ধনিয়া রুটে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে লঞ্চ চলাচলের খবর জানিয়ে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরী হাট লঞ্চ ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক সুপারভাইজার শরীফুল ইসলাম বলেন, লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল রুটে নয়টি লঞ্চ চলাচল করে। এর মধ্যে তিনটি বরিশাল যায়, আর ছয়টি ভোলা রুটের। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে নদীতে প্রবল বাতাস বইছে। এমনিতে ভয়ে কেউই লঞ্চ চালাবে না। তবে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মজু চৌধুরী হাট লঞ্চঘাট থেকে সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘাটে ছয়টি লঞ্চ রয়েছে। আর দুটি লঞ্চ বরিশাল ও একটি ভোলা ঘাটে রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সকালে ছোট লঞ্চগুলো বন্ধ হলেও সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকা-চাঁদপুর, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ চাঁদপুর থেকে সব রুটের লঞ্চ ও নৌযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বরত নৌপথ পরিদর্শক (টিআই) শাহ আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, সকাল ৬টা থেকে নির্ধারিত সময়ের এমভি আফিয়া, এমভি সোনার তরী-৩, এমভি ঈগল-৭, এমভি বোগদাদিয়া লঞ্চ চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ১০টা ৪০ মিনিটে সব লঞ্চ বন্ধ হয়ে যায়। সকাল থেকে লঞ্চগুলো ছেড়ে গেলেও যাত্রী ছিল খুবই কম। এখন ঘাটে যাত্রী-লঞ্চ কোনোটাই নেই।
প্রতিবেদন তৈরিতে বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর প্রতিবেদক তথ্য পাঠিয়েছেন।