ঘূর্ণিঝড় মিধিলি
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১২:২৪ পিএম
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৫৫ পিএম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলি উপকূলের দিকে আরও এগিয়ে আসায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। প্রবা ফটো
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ আজ শুক্রবার সন্ধ্যানাগাদ পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আর ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ দুপুরনাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। এর প্রভাবে দেশের আট উপকূলীয় জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ইতোমধ্যে এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ঠিক কখন আঘাত হানতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুপুর ১২টার পর থেকে যেকোনো সময় অগ্রভাগ আঘাত হানতে শুরু করতে পারে। নির্দিষ্ট করে আপাতত সময় বলা সম্ভব হচ্ছে না।
ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের দিকে আরও এগিয়ে আসায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলেছে অধিদপ্তর। আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৬ নম্বর বিপদসংকেত।
আবহাওয়ার ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাবের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, দ্বীপ ও চরাঞ্চলে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আজ সকাল ৯টায় মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষি-পশ্চিমে ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।