প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৩ পিএম
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৪ পিএম
বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। এটি দেশের উপকূলীয় ১১টি জেলায় আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ’ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার দুপুরে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। যে জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে সেগুলো হলো—সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম।’
তিনি বলেন, ’যেহেতু এখন পূর্ণিমা নেই এবং বাতাসের গতিবেগও কম, সেজন্য জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কাও অনেক কম। আবহাওয়া দপ্তর থেকে বিপদসংকেত দেওয়া হবে। সেটা সাত মাত্রায় উঠলেই যেন দ্রুততার সঙ্গে ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দেব, তারা যেন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখে।’
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ’গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও মোংলায় আঘাত হানতে পারে। তখন প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতি থাকতে পারে ৬০ থেকে ৮৮ কিলোমিটার।’
বজলুর রশিদ বলেন, ’ঘর্ণিঝড়ের কারণে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য বিভাগে শুক্র ও শনিবার প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে।’
ঘূর্ণিঝড় হলে এর নাম হবে ‘মিধিলি’। নামটি মালদ্বীপ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।