প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:০৯ পিএম
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ২০:০৫ পিএম
নির্বাচন কমিশন ভবন। ফাইল ফটো
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
তফসিল ঘোষণা করার জন্য বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়া শুরু করেন সিইসি। ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন তিনি।
তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হয়। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ দফা (৩) উপদফা (ক)-এর বরাতে এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেন সিইসি।
তফসিল ঘোষণা করার জন্য সব আনুষ্ঠানিকতা আগেই শেষ করে নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি জানিয়ে বুধবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বিকাল ৫টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনার বৈঠক করেন।
সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা উপলক্ষে সকাল থেকে নির্বাচন ভবনে তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার শুধু নির্বাচন কমিশনের সামনে পুলিশি নিরাপত্তা থাকলেও আজ সকাল থেকে পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন ভবনের ভেতরেও দর্শনার্থীদের বিষয়ে কড়াকড়ি রয়েছে।
এদিকে রাজনৈতিক মহলে শঙ্কা করা হচ্ছিল– তিন প্রধান রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ তফসিল ঘোষণায় প্রভাব পড়তে পারে। সংলাপ চেয়ে চিঠি দেওয়ার বিষয়ে রবিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে জানানোর পরদিন ইসি জানিয়ে দেয়, মার্কিন চিঠিতে তফসিল ঘোষণায় কোনো প্রভাব পড়বে না।