× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অটিজম একাডেমি নির্মাণে আবারও মেয়াদ বেড়েছে

এম আর মাসফি

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:২৮ পিএম

আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৩ পিএম

অটিজম একাডেমি নির্মাণে আবারও মেয়াদ বেড়েছে

অটিজম ও স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় আনতে ২০১৪ সালে জাতীয় একাডেমি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। তবে তিন বছরের প্রকল্প ১০ বছর পার হলেও এখনও মূল কাজই শুরু করতে পারেনি বাস্তবায়নকারী সংস্থা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। বারবার সংশোধন হয়েছে প্রকল্প। এতে মেয়াদ বেড়েছে সাড়ে ৪ গুণ এবং ব্যয় বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ।

ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিজ (নান্দ) শীর্ষক প্রকল্পে নতুন করে আরও সাড়ে তিন বছর এবং ৩০৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা বাড়াতে তৃতীয় সংশোধনী প্রস্তাব করে সংস্থাটি। প্রকল্পের গুরুত্ব অনুধাবন করে তা অনুমোদনও করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। ফলে তিন বছরের প্রকল্প গিয়ে দাঁড়াল সাড়ে ১৩ বছরে।

অটিস্টিক একাডেমি স্থাপন শিরোনামে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। পরে প্রকল্পের কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রথমবার তিন বছর বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যেও কাজ না হওয়ায় আরও চার বছর বাড়িয়ে করা হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। দুবার সংশোধন করে সাত বছর বাড়িয়েও মূল কাজ শুরু করতে না পারায় নতুন করে ফের সাড়ে তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। বারবার মেয়াদ বৃদ্ধি, ডিজাইন এবং রেট শিডিউল পরিবর্তন হওয়ায় ব্যয়ও বেড়েছে সমানতালে।

প্রকল্পে মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ৭৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। ডিজাইন পরিবর্তন ও দুই দফা সংশোধন করে ৩৪৮ কোটি ২২ লাখ টাকা বাড়িয়ে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৪২২ কোটি টাকা। এখানেই শেষ নয়, রেট শিডিউল পরিবর্তন এবং মেয়াদ বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে নতুন করে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ৩০৮ কোটি টাকা। ফলে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৭৩০ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা মূল অনুমোদনের চেয়ে ৬৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে অটিজম শিশুদের জন্য একাডেমি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ জটিলতা এবং পরামর্শক নিয়োগ নিয়ে মামলার কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের ভৌত কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।

প্রকল্প পরিচালক ড. সুধাংশু সরকার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘শুরু থেকেই জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা ছিল। এ ছাড়া পরামর্শক নিয়োগ নিয়েও মামলা হয়েছিল। মামলা নিষ্পত্তি এবং জমি অধিগ্রহণে জটিলতার কারণে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এসব কারণে নির্ধারিত সময়ে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে অবকাঠামো সম্প্রসারণ, জনবল বৃদ্ধির কারণে কয়েকবার ডিজাইন পরিবর্তন করতে হয়েছে। এজন্য দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে।

এখন সব জটিলতা কেটে গেছে, জমিও পাওয়া গেছে। শিগগির টেন্ডার হবে। আশা করছি, বর্ধিত মেয়াদের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভৌত অবকাঠামোর নির্মাণকাজ শুরু না হলেও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলায় অটিজম শিশু, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া অটিস্টিক শিশুরা যে সমাজের বোঝা নয়, এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এবং প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কাজে এরই মধ্যে ৮০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং বাস্তব অগ্রগতি ২০ শতাংশ। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক জানান, তাদের প্রধান কাজ একাডেমি নির্মাণ না হওয়ায় অগ্রগতি কম হয়েছে।

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য জাতীয় একাডেমি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিজ (এনডিডি) শিশুদের শিক্ষার মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা, বৃত্তিমূলক ও অন্যান্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষম করে গড়ে তোলা। এখানে ২০০ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক ব্যবস্থা থাকবে। শিক্ষার্থীদের আইসিটি প্রশিক্ষণ, খেলাধুলা, সংগীত, শিল্প এবং পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে। এ ছাড়া শিক্ষক, অভিভাবক ও অন্যান্য অংশীজনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, তৃণমূল পর্যায়ে সহায়তার একটি বিশেষ শিক্ষক ও অভিভাবক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- ভূমি অধিগ্রহণ, ১৫ তলার একটি একাডেমিক ভবন, অডিটোরিয়াম ভবন, স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ, একটি জিমনেশিয়াম, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দুটি আবাসিক হল, একটি সাব-স্টেশন ও পাম্প হাউস নির্মাণ এবং মহাপরিচালকের আবাসিক ভবন নির্মাণ ও যানবাহন ক্রয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা