প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ২০:১৯ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৪০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই এমন চা-বাগান, শ্রমঘন এলাকা, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, দুর্গম এলাকা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছাকাছি ৫০টি শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে জমিসহ অবকাঠামো তৈরি করে দিতে হবে স্থানীয়দের। সরকার শুধু প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ দেবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট এসব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ৭৫ ও ৭৬তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠকে চা-বাগান, শ্রমঘন এলাকা, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, দুর্গম এলাকা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছাকাছি যেখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই—এমন স্থানে ৫০টি শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষানুরাগী দানশীল কোনো ব্যক্তি বিদ্যালয় স্থাপন করে দিতে আগ্রহী হলে ১২ নভেম্বরের মধ্যে শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট বরাবর আবেদন করতে হবে। যদিও এজন্য তাদের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট্রের সূত্রমতে, যারা বিদ্যালয় করে দিতে আগ্রহী তাদের বিদ্যালয়ের নামে শহর এলাকায় ১২ শতাংশ, পৌর এলাকা/মহানগরীতে ৮ শতাংশ, ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩০ শতাংশ জমি থাকতে হবে; যা শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর রেজিস্ট্রেশন করে দেবে। নিজস্ব অর্থায়নে বিদ্যালয়ের জন্য পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি শিক্ষক কক্ষ নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সরবরাহ, টয়লেট, পয়ঃনিষ্কাশনসহ বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে থাকতে হবে শিশুদের খেলার মাঠেরও ব্যবস্থা।
শুধু মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ট্রাস্টি বোর্ড সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করবে।
এ প্রসঙ্গে শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক (উপসচিব) মো. আবুল বাশার বলেন, ’দুর্গম এলাকার স্কুলবিমুখ শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনতে আমাদের এই উদ্যোগ। স্থানীয়রা বিদ্যালয়সহ প্রয়োজনী অবকাঠামো তৈরি করে দিলে আমরা শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে তাদের ভেতন-ভাতা দেব।’