আইসিজির রিপোর্ট
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৪৮ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২২:১৪ পিএম
সংগৃহীত ছবি
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দমনপীড়ন তীব্র করেছে সরকার। এই দমনপীড়নকে উপেক্ষা করে রাজধানীতে বিএনপি মহাসমাবেশ করেছে। একই সঙ্গে প্রতি মাসে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার রিজার্ভ কমছে। সহিংসতা অব্যাহত আছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরেও।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সবশেষ প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি)।
আইসিজি একটি অলাভজনক বহুজাতিক ও বেসরকারি সংগঠন। থিংকট্যাংক এই প্রতিষ্ঠানটি বৈশ্বিক সংকট নিয়ে গবেষণা ও বিশ্লেষণ করে। সংগঠনটি তাদের বাংলাদেশ অংশে বলছে-
সরকারী দমন-পীড়ন উপেক্ষা করে ব্যাপক সমাবেশ করেছে বিএনপি
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তত্ত্ববাধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এই দাবি আদায়ের আন্দোলন চাঙ্গা করতে ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করেছে দলটি। সরকারের দমন-পীড়ন উপেক্ষা করে কর্মসূচিতে প্রায় দুই লাখ সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
মহাসমাবেশের দিন পুলিশের সঙ্গে প্রধানত বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়। সমাবেশ পণ্ড করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। প্রধান সড়ক থেকে সারা শহরে ছড়িয়ে পড়া এই সংঘর্ষের ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য ও একজন সাধারণ নাগরিক নিহত হন। আহত হন শত শত মানুষ।
রাজধানীর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ শহরেও সহিংসতার ঘটনায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন এবং আহত হন অনেকে। পর দিন পুলিশ সদস্যকে হত্যার অভিযোগে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ অন্তত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিএনপির দাবি, ২১ থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে দলের অন্তত ৩ হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতাল পালন করেছে বিএনপি ও অন্য বিরোধী দলগুলো। এ ছাড়া ৩১ থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রথম দফায় অবরোধ পালন করা হয়েছে। দাবি আদায়ে চলমান এসব কর্মসূচি সংঘর্ষ-সংঘাতের শঙ্কা আরও বাড়িয়েছে।
আর্থিক সংকট অব্যাহত
গণমাধ্যমে ১৮ অক্টোবর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বরাতে আইসিজি বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৭ বিলিয়ন ডলারের (প্রায় তিন মাসের আমদানির সমান) নিচে নেমেছে এবং প্রতিমাসেই তা প্রায় এ বিলিয়ন ডলার করে কমছে। ১৯ অক্টোবর সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে স্টাফ-লেভেল চুক্তিতে পৌঁছেছে। এই চুক্তি অনুসারে অতিরিক্ত ৬৮১ মিলিয়ন ডলার ছাড় চেয়েছে সরকার, যা এখনো অনুমোদিত হয়নি।
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সহিংসতা অব্যাহত
র্যাব ২ অক্টোবর আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) প্রধানের আর্থিক সমন্বয়কারী এবং ব্যক্তিগত সহকারীকে আটক করেছে। ৪ অক্টোবর সশস্ত্র গ্রুপের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এআরএসএ সদস্য নিহত হয়েছে। ৫ অক্টোবর মিয়ানমার থেকে মাদক পাচারের অভিযোগে কক্সবাজারে স্থানীয় কাউন্সিল সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা নেতাকে হত্যার সন্দেহভাজন হিসেবে ১৫ অক্টোবর আরসা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।